প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই ৫টি বিষয়ের কথা অবশ্যই রাখুন…
যৌন প্রয়োজনের একটি রূপ হলো মানব প্রজনন।যাতে কোনো পুরুষের সঙ্গে কোনো নারীর শারীরিক সম্পর্কের ফলে মানব ভ্রুণের নিষেক ঘটে। পরে নির্দিষ্ট সময় গর্ভধারণের পর প্রসবের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হয়। তবে বিভিন্ন কৃত্রিম শুক্রাণু প্রদান প্রক্রিয়াতেও ডিম্বাণু নিষিক্ত করা যায়, যেখানে যৌন সঙ্গমের প্রয়োজন পড়ে না। যাহোক, বয়স, দুর্বল জীবনব্যবস্থা, যৌন সংক্রমণের ইতিহাস প্রভৃতি আপনার প্রজননে প্রভাব ফেলতে পারে।
১. খাবারে অ্যালার্জি
যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে সেগুলোও প্রজননে প্রভাব ফেলে। কেননা কিছু অ্যালার্জি আছে যেগুলো শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাবার গ্রহণের ফলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণেই আসলে এমনটি হয়ে থাকে। তাই প্রজনন ভালো রাখতে অ্যালার্জি সৃষ্টি হয় এমন খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২.হারবাল ওষুধ সেবন
কৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর হওয়ায় অনেকেই মনে করেন হারবাল ওষুধ সেবন অনেক ভালো। তাতে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আসলে এতে কোনো নাটকীয় পরিবর্তন হয় না, বরং কখনো কখনো ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বরং এর চেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। মনে রাখবেন, প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের সবচেয়ে বেশি জরুরি ফলিক অ্যাসিড খাওয়া। এটি শরীরের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনেক বেশি জরুরি।
৩.নন-অর্গানিক খাবার খাওয়া
নন-অর্গানিক খাবারে মিশ্রিত রাসায়নিক প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক খারাপ। তাই প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে অর্গানিক সমৃদ্ধ খাবার। এ ক্ষেত্রে অর্গানিক ডেইরি পণ্যকে এগিয়ে রাখেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, নন-অর্গানিক দুধের তৈরি খাবার খেলে তা আপনার ডিম্বাশয়ে প্রভাব ফেলে। এর ফলে প্রজননও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪.অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ
আপনি যদি গর্ভধারণ করতে চান তাহলে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। জার্নাল ল্যানকেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী দিনে এক কাপের বেশি কফি পান করেন তাদের চেয়ে যারা কম পান করেন তারা আগেই গর্ভধারণ করেন। মনে রাখবেন, ক্যাফেইন শুধু কফিতে নয়, বরং সোডা, চকলেট এবং এনার্জি ড্রিঙ্কেও আছে। তাই অনেক সময় চাইলেও আপনি ক্যাফেইন গ্রহণে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তাই গর্ভবতী হতে চাইলে খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
৫.পর্যাপ্ত না খাওয়া
কাজের চাপে পড়ে মাঝেমধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়াই ভুলে যান। এই অভ্যাসই কিন্তু আপনার প্রজননে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পর্যাপ্ত না খাওয়ার কারণে আপনি পুষ্টিহীনতায় ভুগে থাকেন। পাশাপাশি চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে শরীরের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে, যা প্রজননে প্রভাব ফেলে। ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য শরীরে পুষ্টির প্রয়োজন পড়ে।