লাইফস্টাইল

ত্বকের যত্নে এই বাদাম জেনেনিন এর কিছু উপকারিতা সম্পক্ষে

কাঠ বাদাম শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারি নয়, এটি রূপচর্চাতেও অসাধারণ কাজ করে। কাঠবাদামে রয়েছে ডায়েট ফাইবার যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল রাখার কাজও করে।

তবে চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে কাঠ বাদামের যেসব উপকারিতা রয়েছে-

তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করে

ত্বকের ভিতরে থাকা সিবেসিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে যদি বেশি মাত্রায় তেল বেরতে শুরু করে তাহলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত দেখাবে। এতে মুখ বেশ কালো দেখায়। সেই সঙ্গে ব্রণসহ আরও বিভিন্ন ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরণের সমস্যাকে দূর করতে কাঠ বাদামের ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে এক মুঠো বাদাম গুঁড়ো নিয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে উঠে জল ছেঁকে নিয়ে পরিমাণ মতো দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার সেই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হলকা গরম জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন এই ফেস মাস্কটিকে কাজে লাগালে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর হবে, সেই সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে

গরম কালেও ত্বকে শুষ্কতা দেখা যায়। এ সময় প্রতিদিন এক বাটি করে বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি বাদাম দিয়ে বানানো ফেসপ্যাক মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে যে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে গুঁড়ো বাদাম, ওটস এবং দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। এইভাবে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ত্বকের পরিচর্যা করলেই ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে।

ত্বকের যে কোন দাগ দূর করে

ত্বকের যে কোন দাগ কমাতে সাহায্য করবে কাঠ বাদাম। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটি নিয়ে তার সঙ্গে বাদাম গুঁড়ো এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে একদিন অন্তর অন্তর ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন মুখের সব দাগ মিলিয়ে গেছে।

ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে

ত্বককে উজ্জ্বল করতে পরিমাণ মতো চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে বাদাম গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। এতে ত্বকের উপরি অংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যাবে। সেই সঙ্গে ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।

ত্বকের বয়স কমাতে

ত্বকের বয়স কমাতে ত্বকের পরিচর্যার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাদামকে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামের ভিতরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের ভিতরে জলের ঘাটতিকে দূর করে। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উপাদান বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বলিরেখার মাত্রা কমায়। ফলে ত্বকের বয়স কমতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বাদাম গুঁড়োর সঙ্গে সম পরিমাণে অলিভ অয়েল এবং দই মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি নিয়মিত মুখে লাগাতে শুরু করলে দেখবেন ত্বকের বয়স কমবে।

Back to top button