আপনার ওজন কমাতে ও ঘুমের জন্য দারুন উপকারী লঙ্কা, জানাচ্ছে গবেষণা
কোন খাবারের উপর ভয় দেখানোর জন্য ছোটবেলায় মরিচ শব্দটাই যথেষ্ট ছিল। অভিভাবকদের কাছে এর থেকে ভালো উপায় আর ছিল না বলাই যায়। এমনকি, বড় হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকের ধারণা মরিচ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
অনেকের ধারণা, মরিচ বেশি খেলে পেটের সমস্যা হবে। এছাড়াও মরিচে ঝাল থাকার কারণে শরীরের নানা রকম সমস্যা হয় বলে মনে করে থাকেন অনেকে৷ তবে এবার সেই ধারণা বদলে যেতে বসেছে। এখন এই ঝালই আপনার রোগ নিরাময় করতে এগিয়ে আসবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এমনকি কমাবে ওজনও-
সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রেশনে অস্ট্রেলিয় গবেষকেরা জানিয়েছেন, খাবারে নিয়মিত মরিচ খেলে ইনসুলিনের চাহিদা অনেকটা কমে যায়। তাই টাইপ টু ডায়াবেটিসে যারা ভুগছেন, তাদের খাবারে মরিচ থাকা উপকারী।
মরিচ খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হয় এই ধারণাও ভুল। মরিচ পাকস্থলীর ঘা হওয়া আটকে নতুন কোষকলা নির্মাণে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে, যে মরিচ যত বেশি ঝাল হবে তা তত উপকারি৷ কারণ, মরিচের দানাতে ক্যাপসায়কিন নামে এক প্রকারের যৌগ থাকে। যা গলার কোন রকম সংক্রমণ হলে আগেই বাঁধা দিয়ে দেয়। ফলে গলার স্বরও ভালো থাকে।
তবে মরিচের গুণাবলী জানতে গেলে নজর রাখতে হবে এই তালিকায়। মরিচ পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে৷ পাশাপাশি মরিচ পাকস্থলীতে হওয়া ক্যান্সারও নিরাময় করে৷ এছাড়াও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মরিচ বেশ উপকারি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মরিচ ঘুমের জন্য খুব উপকারি। ঘুম যাদের হয় না বা যাদের ঘুম কম হয় তারা মরিচ খেয়ে দেখতেই পারেন। এসবের সঙ্গে মরিচ ওজন কমাতেও বেশ কার্যকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন নিয়ম করে মরিচ খেলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি খুব সহজেই কমতে শুরু করে।
এর পাশাপাশি যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তারাও কিন্তু মরিচ খেতে পারেন৷ অন্যদিকে, ফুসফুসে জমে থাকা কফ বা শ্লেষ্মা তাড়াতেও মরিচ বেশ উপকারি৷ সেই সঙ্গে হার্টে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে মরিচের ভূমিকা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।