লাইফস্টাইল

প্রাকৃতিক উপায়ে বাড়িতেই তৈরি করুন মাউথওয়াশ, জেনেনিন তার পদ্ধতি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে সবাই খেয়াল রাখছেন। বিশেষ করে করোনাকালে মুখের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে মুখে মাস্ক পরে থাকতে হয়। এতে করে মুখের দুর্গন্ধ ও দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস বিরক্তির সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

তাছাড়া দুর্গন্ধ, ক্যাভিটি, প্লাক জমা, এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে দাঁতে। দিনে অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুধু দাঁত ব্রাশ করলেই তো আর নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না।

সেই সঙ্গে চাই উপযুক্ত মাউথওয়াশ। কারণ মাউথওয়াশ শুধুমাত্র যে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে তা নয়। মুখের ভেতরে সুস্বাস্থ্যও রক্ষা করে। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক, ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে বানাবেন মাউথওয়াশ।

বেকিং সোডা

আধা চা চামচ বেকিং সোডা আধা গ্লাস ‍কুসুম গরম জল মিশিয়ে নিলেই এক ধরনের মাউথওয়াশ তৈরি হয়ে গেলো। দাঁত ব্রাশ করার পর কিংবা দিনের যেকোনো সময় শুধু এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বেকিং সোডা অত্যন্ত কার্যকরী।

নারিকেল তেল

এই পদ্ধতির নাম ‘ওয়েল পুলিং’। এর জন্য চাই এক চা চামচ নারিকেল তেল। তেলটুকু মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ কুলি করতে হবে। পরে তেল ফেলে দিয়ে জল দিয়ে ভালোভাবে কুলি করতে হবে। মুখ পরিষ্কারের পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদান অপসারণেও সহায়ক ভূমিকা রাখে এই পদ্ধতি। দাঁতে ‘প্লাক’ জমাও রোধ করে।

লবণ

লবণ-জল দিয়ে কুলকুচি করা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। এখানেও চাই আধা গ্লাস কুসুম গরম জল আর আধা চা চামচ লবণ। একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই কাজ শেষ। বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশের মতোই কার্যকরী এটি।

অ্যালোভেরা

এক কাপ অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে হাফ কাপ জল মিশিয়ে নিতে হবে। যে জল ব্যাবহার করছেন সেটা আগের থেকে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার জল ও অ্যালোভেরার রসের মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে দিন বেকিং সোডা। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে মাউথওয়াশ। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার হয় এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। দাঁতে ‘প্লাক’ জমা রোধ করে এবং মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধ করে এই মিশ্রণ।

দারুচিনি আর লবঙ্গের তেল

এক কাপ জল ১০ ফোঁটা দারুচিনির তেল আর ১০ ফোঁটা লবঙ্গের তেল যোগ করতে হবে। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সাধারণ মাউথওয়াশের মতো করেই ব্যবহার করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এই মিশ্রণ, তাই একসঙ্গে বেশি করে বানিয়ে রেখে দিতে পারেন।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার

দুই চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার এক কাপ লবণজোল ও ভ্যানিলা এসেনশিয়াল অয়েল একটি বাটিতে মেশান। এটি বোতলে রেখে দিতে পারেন। এ মিশ্রণ ব্যবহার করে নিয়মিত মুখগহ্বর পরিষ্কার করতে পারেন।

পিপারমিন্ট ও চা-পাতার তেল

এক কাপ জলে দুই চা-চামচ বেকিং সোডা, আট-নয়টি পিপারমিন্ট অথবা পুদিনা পাতা ও দুই চামচ চা-পাতার তেল। উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন।

লবণ দিয়ে গার্গেল

এই পদ্ধতি হালকা গরম জল এক চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।

নিম গাছের দাঁতন

যাদের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় বা যারা মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে থাকতে চান, তারা নিমের দাঁতন ব্যবহার করতে পারেন। বহুকাল আগে থেকেই মুখের সুরক্ষায় প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে নিম ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম দাঁতের গোড়া শক্ত করে।

Back to top button