আপনার ঘর সুন্দর ও পরিপাটি রাখতে দেখেনিন কিছু সহজ টিপস!
ঘরে শুধু জামাকাপড়েই নয়, আনাচে-কানাচে জড়ো হয়েছে হাজারো পুরোনো জিনিস। সেগুলোর বন্দোবস্ত না করে নতুন জিনিস কেনার কোনো মানেই হয় না। কিন্তু খুব সহজেই ঘরকে ‘ডি-ক্লাটার’ করতে পারেন। মানে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বাতিল করে ঘরটিকে অনায়াসেই গুছিয়ে রাখতে পারেন। আর সে জন্য রইল কিছু পদ্ধতি।
ঘরকে ডি-ক্লাটার করতে প্রথমেই একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। তালিকাতে থাকবে প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসের নাম। সেই অনুযায়ী আপনি জিনিসগুলো ভাগ করুন। দেখবেন অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আপনি অত্যন্ত সহজেই ভাগ করে ফেলেছেন।
এর মাধ্যমে আপনি আপনার ঘর বা বাড়িটিকে ঠিক কেমন দেখতে চান, সেটা মনে মনে ভেবে নিতে পারেন। এতে আপনার পরিকল্পনার যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব।
বাড়ির কোনো একটা জায়গায় একটা বাক্স রাখুন। প্রতিদিন সেখানে একটা করে বাতিল জিনিস রেখে দিন। মাসের শেষে দেখবেন আপনার হাতের কাছেই বাতিল জিনিসগুলো জড়ো হয়েছে।
কোনো কোনো জিনিস হয়তো আপনার কোনো কাজে লাগছে না। সে ক্ষেত্রে জিনিসগুলো যেমন পুরোনো জামা, বই, বইয়ের আলমারি ইত্যাদি অন্য কাউকে দিয়ে দিতে পারেন। এতে ঘরের জায়গা যেমন বাঁচবে, সেই সঙ্গে পেয়ে যাবেন নতুন জিনিস রাখার জায়গা।
রান্নাঘরে অনেক সময় চায়ের কাপ বা চীনামাটির টি-পটটি বিনা ব্যবহারে পড়ে রয়েছে। জিনিসগুলো একেবারে ফেলে দিতে ইচ্ছা না হলে, রি-সাইকেল করে জিনিসগুলো অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন। শখের চায়ের কাপটিকে নানা রঙে রঙিন করে বানিয়ে ফেলুন পেনদানি আর টি-পটটিকে চারাগাছের টব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ইলেকট্রনিক গ্যাজেট (মোবাইল, ইয়ার ফোন, আইপড, ক্যালকুলেটর) যেগুলো বাড়িতে অযথা পড়ে রয়েছে, সেগুলো আগে চিহ্নিত করুন। ব্যবহারযোগ্যতা না থাকলে ইলেকট্রনিকসের দোকানে গিয়ে স্বচ্ছন্দে এক্সচেঞ্জ করে নতুন আপ-গ্রেডেড গ্যাজেট নিয়ে আসতে পারেন।
বাড়িতে সন্তানদের খেলনা, পুতুল, টেডি বিয়ার যেগুলো সেই অর্থে ব্যবহারযোগ্য নয় বা সন্তান সেগুলো নিয়ে আর খেলে না, সেইগুলো অন্য কোনো বাচ্চাকে দিয়ে দিতেই পারেন।
বাড়ন্ত বাচ্চাদের জামাগুলো ফেলে না দিয়ে আপনি নিকটবর্তী অনাথ আশ্রমে দিয়ে আসতে পারেন, এতে যেমন ওয়ারড্রোবে নতুন জামা রাখার ব্যবস্থা তৈরি হবে, তেমনি জিনিসগুলো অন্য কারও কাজে লাগতে পারে। পুরোনো ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ইলেকট্রনিকসের দোকানে দিয়ে এক্সচেঞ্জে নিয়ে আসতে পারেন নতুন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট।
ঘরের আসবাবপত্র তৈরির ক্ষেত্রেও আপনি ‘ডি-ক্লাটার’ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। যেমন আপনার ওয়ারড্রোবেই যদি ভালো আয়না ও কসমেটিকস রাখার শেলফ বানিয়ে নিন, তাহলে ড্রেসিং টেবিল রাখার প্রয়োজনীয়তা সেভাবে চোখে পড়ে না। রান্নাঘরে ‘মাল্টিপারপাস কাবার্ড’ ব্যবহার করুন। তাতে রান্নাঘরে অতিরিক্ত আসবাবপত্র রাখার প্রয়োজনীয়তা পড়বে না।
এই কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললেই সহজেই আপনার বাড়িটির নতুন লুক অনায়াসেই তৈরি হয়ে যাবে।