লাইফস্টাইল

লবঙ্গ ও মধুর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনিন!

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি মধু ও লবঙ্গ উভয়ই। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বহুকাল থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই দুটি উপাদান। স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকার, এগুলোর মধ্যে থাকা অনেক ঔষধি গুণ। আমরা যদি এই দুটি জিনিস একসাথে মিশিয়ে খেতে পারি তাহলে অনেক রোগ থেকে পাওয়া যাবে সহজেই নিরাময়। চলুন জেনে নেই কী কী উপকার মিলবে লবঙ্গ ও মধুতে।

গলাব্যথা কমায়

মধু এবং লবঙ্গের মিশ্রণ খেলে স্বস্তি মিলবে সংক্রমণ ও গলা ব্যথা থেকে। তিনটি লবঙ্গ ভেঙে এতে এক চামচ মধু মেশান এবং পাঁচ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার লবঙ্গ সরিয়ে মধু খেয়ে নিন। এরপর এক গ্লাস হালকা গরম জল পান করুন। গলার ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

বমিভাব দূর করে

অনেক সময়ই আমাদের বমি বমি ভাব আসে। এটি হতে পারে বিভিন্ন কারণে। কয়েকটি ভাজা লবঙ্গ পিষে গুঁড়ো তৈরি করুন এবং এটি মধুতে মেশান। বমিভাব অনুভব করার সময় এই মিশ্রণটি খান। এই পদ্ধতিটি গর্ভাবস্থায়ও নিরাপদ!

ত্বকের যত্নে

লবঙ্গতে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ত্বককে রক্ষা করে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে। মধু মুখকে হাইড্রেট ও ময়েশ্চারাইজ করে। এক চামচ মধুতে লবঙ্গ পাউডার এবং লেবুর রস মেশান। এই পেস্টটি আপনার মুখে লাগান। ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে।

মুখের আলসার রোধে

লবঙ্গতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক এজেন্ট, যা মুখের আলসার কমাতে সাহায্য করে। এক চা চামচ মধুতে আধা চামচ লবঙ্গ পাউডার মিশিয়ে নিন। এটি আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং কয়েক মিনিট রেখে দিন। ভালো ফল পেতে এটি দিনে তিনবার লাগাতে পারেন। ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

ব্রণ কমায়

মধুতে আছে পেপটাইড, ভিটামিন বি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি অ্যাসিড। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে এর মধ্যে, যা আমাদের ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং ব্রণ দূর করে। ত্বকের লালচে ভাবও দূর করে মধু। সামান্য লবঙ্গ গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

Back to top button