RUSH-EU: কেন ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল স্বাধীন ঘোষণা করলো রাশিয়া? জেনেনিন বিস্তারিত
ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক দখলে এলে রাশিয়ার দখলে চলে আসবে একটি বন্দরও। আর এই দুটি অঞ্চলকে একত্রে বলা হয় ডোনবাস। মূলত দোনেতস্কের প বন্দর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঘুরপথে বাণিজ্য করার এক বড় সমস্যার সমাধান ঘুচে যাবে। প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ থেকে নিজের মুক্ত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলো ডোনবাস। এমনকি এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য পাসপোর্ট ও টিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের রুশপন্থি বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এরই মধ্যে, উভয় অঞ্চলে তথাকথিত শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য রুশ সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমা শক্তিগুলো আশঙ্কা করছে, এটি রাশিয়ার জন্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করবে।
এদিকে, রাশিয়ার এই মিশনের ব্যাপ্তি এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সেনারা যদি সীমান্ত অতিক্রম করে, তবে এটি হবে প্রথমবারের মতো রুশ সেনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রবেশ করা।
এর আগে মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন পুতিন। পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল উল্লেখ করে পুতিন জানান, রাশিয়ার জনগণ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
এর আগে সোমবার নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন পুতিন। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমানাঘেষা দুটি অঞ্চল। ২০১৪ সাল থেকেই এ অঞ্চলের রুশপন্থি বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
লুহানস্ক-এর বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা লিওনিদ পাসেচনিক ও দোনেৎস্ক-এর নেতা ডেনিস পুসহিলিন পুতিনের সঙ্গে এই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আর এ বৈঠকেই লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদে পুতিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আজকের বৈঠকের লক্ষ্য হলো আমাদের বন্ধুদের কথা শোনা এবং এ অঞ্চল নিয়ে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করা।’
রাশিয়ার নিম্নকক্ষ গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে আহ্বান জানান, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমাদেশগুলো কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।