প্রচণ্ড মাথাব্যথায় ভুগছিলেন যুবক, স্ক্যান করে দেখা গেলো মাথায় বুলেট!
চীনের শেনজেনের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী জিয়াও চেন (ছদ্মনাম)। কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড মাথাব্যথায় ভুগছিলেন। মাঝে মাঝেই তার এই সমস্যা হয়। তবে এতদিন খুব বেশি আমলে নেননি ব্যাপারটা। ইদানিং অনেক বেশি দেখা দিয়েছে এটি। শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের।
তারা জিয়াও চেনের এমআরআই করান। সেখানে ছোট্ট একটি বস্তু নজরে আসে তাদের। তবে প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারছিলেন না সেটি কী। ধাতব কোনো কিছু তা অনুমান করেছিলেন। ভালোভাবে পরীক্ষার পর জানা যায় সেটি একটি বুলেট। তবে মাথার ভেতরে সেই বুলেট কীভাবে গেল তা তারা বুঝতে পারছিলেন না।
জিয়াও প্রথমে ভেবেছিলেন কয়েক সপ্তাহ তিনি কাজের চাপে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিলেন না, তাই হয়তো মাথাব্যথা করছে। তবে এমন কিছু আশা করেননি। চিকিৎসকদের কথা প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করছিলেন না।
তবে পড়ে তার মনে পড়ে যায় একটি ঘটনা। তখন তার বয়স আট বছর হবে। জিয়াও তার ভাইয়ের সঙ্গে বাবার গান নিয়ে খেলছিল। এক সময় তার ভাইয়ের হাতে গান থাকা অবস্থায় ভুলে সেটির টিগারে চাপ লাগে। তার মাথায় এসে লাগে বুলেটটি। সামান্য ক্ষত হওয়া ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা হয়নি তার।
মার খাওয়ার ভয়ে বাবা-মাকেও এই ঘটনা জানাননি তারা। জিয়াও তার চুল দিয়ে ক্ষতটি ঢেকে রেখেছিলেন কিছুদিন। তারপর নিজেরাও ভুলে যান সেই ঘটনা। কিন্তু সেদিনের সেই বুলেট যে মাথার ভেতরে থেকে গেছে তা বুঝতেই পারেননি। এই ২০ বছর তিনি মাথায় বুলেট নিয়েই ঘুরে বেড়িয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এটি খুবই আশ্চর্যজনক একটি ঘটনা। জিয়াও খুবই ভাগ্যবান তা স্বীকার করতেই হবে। এতদিন এভাবে বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক বটে।
বুলেটটি জিয়াওয়ের মাথার খুলিতে পুরোপুরি প্রবেশ করেনি বা মস্তিষ্কে আঘাত করেনি। গত মাসের শেষের দিকে তার জরুরি অস্ত্রোপচার করে বের করে আনা হয় বুলেটটি। ২০ বছর বয়সী বুলেটটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১ সেমি এবং ব্যাস প্রায় ০.৪ সেমি। চেন বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল