গঙ্গারামপুর পৌরসভা নির্বাচনের উন্নয়নই হাতিয়ার প্রশান্ত মিত্রের
দক্ষিণ দিনাজপুরঃ পৌরসভা নির্বাচনের দামামা বাজতেই ও তৃণমূল কংগ্রেসের গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশিত হতেই ইতিমধ্যে প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রচার পর্ব শুরু করেছেন, পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিপল ভোটে জয়লাভ করবে বলে আশাবাদী। আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারী রাজ্যের ১০৮টি পৌরনির্বাচনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ২টি পৌরসভা বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর পৌরসভায় নির্বাচন রয়েছে। এবারের পৌরসভা নির্বাচনের গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছে গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রশাসক প্রশান্ত মিত্র। গত রবিবার থেকে ইতিমধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রশান্ত মিত্র তার নির্বাচনী প্রচার পর্ব শুরু করে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গঙ্গারামপুর পৌরসভার যে কোনও কাজ অথবা উন্নয়নের নিরিখে বরাবর প্রশান্ত মিত্রের নাম উঠে আসে। নম্র ও ভদ্র ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন মহলে তিনি সমালোচিত ও প্রশংসিত। পাশাপাশি শাসক দল বা বিরোধী দলের যে কোনও কর্মী ও সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে তিনি সদা অবিচল।
যে কেউ তার কাছে এলে তিনি তাদের খালি হাতে ফেরান না। সে কারণে প্রশান্ত মিত্রকে পুনরায় গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান গঙ্গারামপুর বাসীরা। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে মহামারীর মোকাবিলা বা আমফানের মোকাবিলা অথবা অসহায় মানুষ থেকে শরু করে পৌরনাগরিকদের সুবিধার্থে তাদের পাশে থেকে অবিচল ভাবে কাজ করে আসছে গঙ্গারামপুর পৌরসভা। যে কথা বারবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। পৌরসভার উন্নয়নের স্বর্ণ মুকুটে নতুন করে অনেক পালক সংযোজন হয়েছে। পৌরসভার প্রশাসক ও প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা সকলের পাশে থেকে দিবারাত্রি ক্লান্তিহীন ভাবে পরিষেবা দিয়ে এসেছেন।
মূলত, পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল বামেরা আর সে সময় পুরবাসী বা পুরএলাকার কোন রকম কাজই করেননি বলে তারই একডালি অভিযোগ ছিল। আজ থেকে ঠিক ছয় বছর আগে গঙ্গারামপুর পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস এরপরই নতুন সাজে এখনও সাজছে দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা। বাম আমলে অভিযোগ ছিল বিস্তর। পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডেই তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তাঘাট, জলনিকাশি ব্যবস্থা বিভিন্ন সৌন্দর্যায়নের কাজও করেছে ও করছে পুরসভা। সবমিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর শহর। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি মৌজা নিয়ে তৈরি হয়েছিল গঙ্গারামপুর পুরসভা। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার।
একাধিক উন্নত পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছিলেন পুরনাগরিকরা। তবে তার কোনওটারই বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫ সালে পুরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরনাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়নের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে নতুন সরকার। দীর্ঘ ২১ বছরে বামেরা যা করতে পারেনি, মাত্র ৬ বছরেই তা করে দেখিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পানীয় জল, নিকাশিব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি, পাকা রাস্তাঘাট, সভেপার আলো, রাস্তায় রাস্তায় হাই মাস্ট আলো গোয়ালখাঁড়ি শশ্মানে বৈদ্যুতিক চুল্লি, আধুনিক স্টেডিয়াম, বিশ্ববাংলা প্রতীকী তোরণ ফোয়ারা,খেয়াঘাটের জন্য বাঁধানো সিঁড়ি তৈরি আরও অনেক কিছুর কাজ চলছে। পুরসভার নানান উন্নয়নমূলক কাজে খুশি হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে গঙ্গারামপুরবাসীদের। উন্নত ও আধুনিক বিভিন্ন পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। পর্যটকদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে গঙ্গারামপুরের কালদিঘি পার্কেরও সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। কালদিঘির পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় টয়ট্রেনের মত ট্রেনও চলছে। এই পার্কে থাকা টুরিস্ট লজটিরও সংস্কার করেছে পুরসভা। এছাড়াও ঐতিহাসিক বানগড়কেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
স্বল্প খরচে বাসষ্ট্যান্ডে রাত্রিযাপনের জন্য পুরসভার তরফে অতিথি আবাস চালু করা হয়েছে। পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ইন্দ্রনারায়নপুর মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা আরও হয়েছে আধুনিক ও ঝাঁ-চকচকে। গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্যোগে ও বর্তমান(তৃণমূলের) পুরসভার প্রশাসক প্রশান্ত মিত্রের একান্ত চেষ্টায় ও উন্নয়নের ধারায় নানান উন্নয়নমূলক কাজ ও এতকিছু পেয়ে বেজায় খুশি এলাকাবাসীরা। অন্যদিকে পুরসভার প্রশাসকের এহেন উদ্যোগে ও উন্নয়নমূলক কাজে জেলার বিভিন্ন মহলের একাংশরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। গঙ্গারামপুরবাসীদের এইরূপ মনোভাব ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার প্রশাসক প্রশান্ত মিত্রের জেতার ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক মহল সহ বাসিন্দাদে। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ড সহ সারা শহরের উন্নয়নের ধারা প্রশান্ত মিত্রের পৌরসভা নির্বাচনের ইন্ধন বা অক্সিজেন বলা যেতে পারে। সর্বশেষে বলাই বাহুল্য, গঙ্গারামপুর পৌরসভা নির্বাচনের উন্নয়নই হাতিয়ার প্রশান্ত মিত্রের।