রসুন সাস্থের পক্ষে খুবই উপকারী, জেনেনিন রসুনের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে!
রসুন আমাদের রান্না ঘরের বহুল ব্যবহারের একটি মসলা। আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় কোনোও না কোনো খাবারে রসুনের ব্যবহার থাকেই। কিন্তু রসুন শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবেও কাজ করে। রসুনের রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। নিয়মিত রসুন খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব কারণ রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাহলে আর দেরি কেনো, জেনে নিন রসুনের ঔষধি গুণ সম্পর্কে।
ওজন কমাতে: আজকাল ওজন নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ওজন কমাতে কত কিছুই না করি। কিন্তু আপনি চাইলেই এখন এ সমস্যার খুব সহজ সমাধান দিতে পারেন। শুধু রান্নায় নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে, দেখবেন ওজনটা আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
মাথা ধরায়: সর্দি হয় না অথচ মাথা ধরে এরকম হলে ২-১ কোয়া রসুনের রস খেয়ে নিলে মাথা ধরা কমে যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে: ডায়াবেটিস মানুষের শরীরে রক্তের সুগারের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু রসুন রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই নিয়মিত রসুন খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করাও সম্ভব।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায় এবং রক্তবাহী ধমনীতে ক্ষতিকর সাদা পদার্থ গঠন ৫ থেকে ১৮ ভাগ কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে উপকার পাবেন।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: রসুন পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়। একই সঙ্গে লিভারকেও সুস্থ রাখে
আলসার প্রতিরোধ: এক গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনে বিদ্যমান ডাই এলাইল সালফাইড ও ডাই এলাইল ডাই সালফাইড এ রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ক্ষমতা। তাই আলসার নিরাময়ে রসুন খুবই কার্যকর।
পুরনো জ্বরে: অনেক সময় পুরনো জ্বর ছাড়ে না, বাড়ে-কমে কিন্তু একটু হলেও থেকে যায়, তখন ৫-৭ কোয়া রসুনের রসের সঙ্গে আধা কাপ গাওয়া ঘি মিশিয়ে খেলে ২-৩ দিনের মধ্যেই জ্বর কমে যাবে।
ক্ষত নিরাময়ে: অনেক সময় শরীরের ক্ষত কিছুতেই শুকাতে চায় না। এমন হলে রসুন বাটা ক্ষতে লাগালে ক্ষত নিরাময় হয়ে যাবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: রসুনের অ্যালাইল সালফার উপাদান ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়া রসুন সুনির্দিষ্ট কিছু টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে এবং কিছু টিউমারের আকারও ছোট করতে ভূমিকা রাখে।
বাতের ব্যথা কমায়: পুরনো ও দীর্ঘস্থায়ী বাতের ব্যথা কমাতেও রসুন বেশ কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। রসুন বাতজনিত কারণে সৃষ্ট অন্যান্য উপসর্গকেও নিয়ন্ত্রণ করে।