জিরের যত উপকারী গুন্! জানলে আপনিও অবাক হবেন কারণ
মশলার বেশিরভাগই আয়ুর্বেদিক গুণাগুণে সমৃদ্ধ। সে রকম গুণসম্পন্ন মশলার মধ্যে জিরে অন্যতম। রান্নার এর বহুল ব্যবহার। পাশাপাশি, ইউরোপে,বিশেষ করে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের রান্নাতেও জিরে দেওয়া হয়। খ্রিস্টের জন্মের কয়েক হাজার বছর আগে প্রাচীন পারস্য, ব্যাবিলন এবং মিশরীয় সভ্যতায় জিরে খাওয়ার প্রচলন ছিল।
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জিরের স্বাস্থ্যসম্মত গুণাগুণ প্রচুর :-
হজমে সাহায্য :
বহুদিন ধরেই জিরের ব্যবহার হয়ে আসছে হজমের সহায়ক হিসেবে। জিরের প্রভাবে বাড়ে হজমে সহায়ক উৎসেচকের ক্ষরণ। ফলে হজমের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।তা ছাড়া জিরের জন্য যকৃৎ বা লিভার থেকে পিত্ত বা বাইল ক্ষরণ বাড়ে। এই পিত্ত-ও সাহায্য করে পরিপাক ক্রিয়ায়।
লোহার উৎস:
জিরের দানা প্রাকৃতিক ভাবে লোহার উৎস। এক চামচ জিরেগুঁড়োয় আছে ১.৪ মিলিগ্রাম লোহা বা আয়রন।
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জিরের স্বাস্থ্যসম্মত গুণাগুণ প্রচুর
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ:
আধুনিক গবেষণা বলছে, শরীরের ক্ষতিকারক ট্রাইগ্লিসারইড নিয়ন্ত্রিত থাকে জিরের প্রভাবে।
সরাসরি জিরে সেবনের পাশাপাশি জিরে ভেজানো জলের উপযোগিতার কথাও বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। রাতে এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন অর্ধেক চামচ জিরে। সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। অনেকে গোটা জিরে ফুটিয়েও মিশ্রণ বানান। তারপর ওই ঈষদুষ্ণ জল পান করেন। জিরে মিশ্রিত জল পান করার গুণাগুণ অনেক। আসুন দেখে নিই এই মিশ্রণ পান করার ভাল দিক কী কী:
• হজম প্রক্রিয়া এবং পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক
• বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
• অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হজমের গণ্ডগোল কম রাখতে সাহায্য করে। মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ায়।
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
• মধুমেহ রোগীদের জন্যও উপকারী।
• নিয়্ন্ত্রণে থাকে উচ্চরক্তচাপ।
• ভাল থাকে লিভারের স্বাস্থ্য।
• রক্তাল্পতা দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
• চুলের জেল্লা বজায় থাকে।
• বয়সের ছাপ মুছে এবং ব্রণ দূর করে ত্বকের চাকচিক্য ধরে রাখে।
বহুদিন ধরেই জিরের ব্যবহার হয়ে আসছে হজমের সহায়ক হিসেবে।
এ বার সময়ে অসময়ে আপনার মুশকিল আসান হবে মশলার কৌটোর এই সদস্য-ই।