উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রনের, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নিয়ে ভারতীয় গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য
দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা (COVID-19) ভাইরাসের প্রকোপ। ঠিক এই মুহূর্তে উঠে এল এক ভয়ানক তথ্য। দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সার্ভিসেসের পরিচালিত আরেসেন্ট গবেষণায় উঠে এল এক নতুন তথ্য যেখানে দেখা গিয়েছে যে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রভাব বেশি পরিমানে। তবে এই নতুন প্রজাতির বেশিরভাগ রোগীর কোনও গুরুত্বপূর্ণ রোগের লক্ষণ ছিল না বলে জানা গিয়েছে।
ভাইরোলজি বিভাগের গবেষণায় দেখা গেছে,গবেষিত নমুনার মধ্যে ২৬৪ টি ক্ষেত্রে, ৬৮.৯% ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। BA.1 সংখ্যা ছিল ৩১.০৬%। যার মধ্যে ওমিক্রন ছিল ৭৩১.%। ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই উপসর্গবিহীন বা যাদের হাসপাতালে ভর্তির কোনও দরকার দেই এবং সেই শতাংশটা হল ৫০.৬১%। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ২০২১ সালে দিল্লির ৫টি জেলা থেকে নেওয়া হয়েছিল RT-PCR এর রিপোর্ট। যেখানে ২৫ নভেম্বর ও ২৩ ডিসেম্বর করোনার পজেটিভ কেসগুলি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের শিকার হয়েছিল সব থেকে বেশি। ২৬৪ কেসের ক্ষেত্রে ৭২ জন মানুষ ডবল ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং তার মধ্যে ৩৯.১% মানুষের বিদেশে ভ্রমণে রেকর্ড আছে।
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণ সুনামির মত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে করোনা আক্রান্তদের কিছু পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ শতাংশ সংক্রামিত মানুষ এখন তাদের গন্ধ বা স্বাদ পান না এবং ৮০ শতাংশ মানুষের গলা ব্যথার লক্ষণ দেখা যায়।