ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে মেয়েদের পোশাক নিয়ে ছিল বিশেষ নিয়ম, মন না চাইলেও মানতে হতো সকলকেই
ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)-কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হেমা মালিনী (Hema Malini)। ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী প্রকাশ (Prakash Kaur)-কে ডিভোর্স না দিয়ে এই বিয়ে করার জন্য তাঁরা মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই বিয়ে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কিন্তু ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করার জন্য তাঁর জীবন দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছিল। ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারওয়াল’-এ এসে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন এষা দেওল (Esha Deol)।
View this post on Instagram
সেই সময় এষা সপ্তদশী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা হেমা ও বোন অহনা (Ahana Deol)। স্পস্টবক্তা এষা অকপট হয়েছিলেন নিজের বাবা ধর্মেন্দ্র-র ব্যাপারে। সিমি (Simmy Grewal) এষাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ভবিষ্যতে তাঁকে বলিউডে দেখতে পাওয়া যাবে কিনা! এষা জানিয়েছিলেন, তাঁরও ইচ্ছা অভিনেত্রী হওয়ার। কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে তাঁর বাবার রাজি হওয়ার উপর। এই প্রসঙ্গে এষা বলেছিলেন, মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেশি ঘোরাফেরা পছন্দ করেন না ধর্মেন্দ্র। এমনকি স্লিভলেস অথবা শর্ট পোশাক পরতে দেন না তাঁদের। এষা বলেছিলেন, ধর্মেন্দ্র কখনও রাগ করেন না। কিন্তু তিনি মেয়েদের নিয়ে খুব পজেসিভ।
View this post on Instagram
এষার মতে, ধর্মেন্দ্র মনে করেন, মেয়েদের বাড়িতেই থাকা উচিত। ধর্মেন্দ্র এলে এষাদের সম্পূর্ণ ঢাকা পোশাক পরে থাকতে হত। নাহলে তিনি বিরক্ত হতেন। এষা ও অহনা ছোট থেকে নাচ শিখেছেন। তাতে ধর্মেন্দ্রর আপত্তি না থাকলেও অভিনয়কে মেয়েরা কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিক, তা চাননি তিনি। তবে তিনি পরবর্তীকালে ধর্মেন্দ্রকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছিলেন এষা। এই প্রসঙ্গে হেমাও বলেছিলেন, মেয়েদের নিয়ে অকারণ চিন্তিত থাকেন ধর্মেন্দ্র।
View this post on Instagram
তবে ধর্মেন্দ্রর আপত্তি সত্ত্বেও বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে পা রাখেন এষা। ‘ধুম’, ‘যুবা’-র মতো একের পর এক সুপারহিট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন তিনি। সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন এষা।