ভারতের প্রথম ১০০ কোটির নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী, বলিউডে রাজত্ব করেছেন বাংলার ছেলে
মুম্বাইয়ের মায়া নগরীতে নিজের জায়গা করে নেওয়াটা যে কতটা কষ্টসাধ্য তা মিঠুন চক্রবর্তীর ইতিহাস জানলে বুঝতে পারা যায়। তার এই সুপারস্টার হয়ে ওঠার জার্নির প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় গায়ের রং। তার চাপা গায়ের রঙের কারণেই তাকে হতে হয়েছিল বাতিল। বোম্বে তে করা তার সেই কষ্ট গুলো বুঝিয়ে দিয়েছিলো বলিউডে জায়গা করা সোজা নয় যতটা সে বাকি দেড় মতো ভেবেছিলো।
সেই সময় তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন পকেটে টাকা না থাকলে আর বাবা -মা যদি বলিউডের কেউ না হন তাহলে বলিউডে কল্কে পাওয়া খুব মুশকিলের লড়াই। আর সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে না ছিল কোনো অর্থ না ছিল কোনো বলিউডের পরিচিতি। বোম্বার মাটি আঁকড়ে পরে থাকার জন্য তিনি কাজ করেছিলেন হোটেল বয়ের। তার কাছে একেকটা দিন ছিল একেক রকম ছিল না খাওয়া -ঘুমোনোর ঠিক ঠিকানা অপরদিকে গায়ের রং কালো হওয়ার কারণে তিনি নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পেতেন না।
তবে কষ্ট ও বাধা বিপত্তির মাঝেও দেব দুটি হয়ে হাজির হন চিত্র পরিচালক মৃনাল সেন। আর সেই সময় তিনি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন মৃগয়া ছবির মাধ্যমে। আর তার প্রথম ছবি সুপারহিট হওয়ায় তিনি করেছিলেন বাজিমাত। মৃনাল সেন তার ওই সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের বার্তা দিয়েছিলো যে সিনেমা শুধু বিনোদনের জন্য নয় সিনেমার মাধ্যমে মানুষকে কিছু শেখানো যায়। আর মৃনাল সেনের মতো নামি পরিচালকের সাহচর্যে আর দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে এই ‘মৃগয়া’ ছবির মাধ্যমেই তিনি ‘সেরা অভিনেতা’ হিসেবে ভারতের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ লাভ করেন মিঠুন চক্রবর্তী।
সম্প্রতি মিঠুনকে নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে সারা বিশ্বে ১০০ কোটি রুপি আয় করা প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘ডিস্কো ডান্সার’। যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮২ সালে।
এখনো পর্যন্ত তিনি ৩০০ তীর বেশি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। শুধু হিন্দি সিনেমা নয় তিনি অভিনয় করেছেন বাংলা ও তেলেগু ভাষার সিনেমাতেও। আর দর্শকদের চাহিদা ও মনোরঞ্জনের কথা মাথায় রেখেই মিঠুন নাচ হোক বা ফাইটের স্টান্ট সব ক্ষেত্রেই নিজের দক্ষতা প্রমান করেন। আর নিজের দক্ষতার মাধ্যমেই বলিউডে পাকা করে নেন নিজের জায়গা।নিজেকে গড়ে তোলেন বলিউডের সুপারস্টার হিসেবে। আর মিথীন দারিদ্রতা থেকে লাভ করেন তার সফলতা ,তার অদম্য জেদ ও নিজেকে প্রমান করার লড়াই দেখে হয়তো মৃনাল সেনের মাধ্যমেই তার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছিলো ঈশ্বর।