Sidharth: শরীরচর্চা নয়, মৃত্যুকে নিজের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়াই সবচেয়ে ভাল, বললেন টলিউড অভিনেতারা
2 রা সেপ্টেম্বর আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে সিদ্ধার্থ শুক্লা (Sidharth Shukla)-র। বলিউডের নামী টেলিভিশন অভিনেতা এবং ‘বিগ বস’ বিজেতা সিদ্ধার্থের কেরিয়ারের সবেমাত্র উড়ান শুরু হয়েছিল। এখনও অবধি প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি ওষুধ সেবন করেছিলেন।
তবে ভোর 3টে নাগাদ তাঁর শারীরিক অস্বস্তি হওয়ায় তিনি নিজের মায়ের কাছে জল খেতে চেয়েছিলেন। সিদ্ধার্থের মা তাঁকে জল ও তার সাথেই বাড়িতে তৈরি করা কোনো হোম রেমিডি দিয়েছিলেন। এরপর সিদ্ধার্থ একটু সুস্থ বোধ করেছিলেন। তিনি আবারও ঘুমাতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সকালে সিদ্ধার্থের মা তাঁকে ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, তিনি অচেতন। সিদ্ধার্থের মা তাঁর বোনদের ও ডাক্তারকে দ্রুত খবর দেন। ডাক্তার এসে সিদ্ধার্থকে মৃত ঘোষণা করে কুপার হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কিন্তু অত্যন্ত ফিটনেস সচেতন সিদ্ধার্থের শরীরচর্চা নিয়ে উঠে আসছে প্রশ্ন। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ ইদানিং অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরচর্চা করতে শুরু করেছিলেন। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। সিদ্ধার্থ ইন্সটাগ্রামে নিজের শরীরচর্চার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতেন। ক্রমশ ফিটনেসের প্রতি অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফলে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিদ্ধার্থের চলে যাওয়ার কারণ তাঁর শরীরচর্চাও হতে পারে।
আর এবার শরীর চর্চা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন বাংলার তারকারা। বিক্রম চ্যাটার্জি বলেছেন “বরুণ ধবন থেকে হৃতিক রোশন, প্রত্যেকেই কিন্তু এই একই কাজ করছেন। চেহারার দিকে নজর দেব না ভাবলেই তো সেটা হয় না। সে রকম মানুষ অবশ্য আছেন, যিনি নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন যে তিনি বলতে পারেন, অ্যাবস বা জিরো ফিগার না হলেও কোনও ক্ষতি হবে না আমার।”
অপরদিকে আর এক ফিটনেস ফ্রিক অঙ্কুশ প্রথাগত শরীরচর্চায় বিশ্বাসী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন “অনেককে দেখেছি তাড়াতাড়ি ভাল চেহারা তৈরির জন্য নানা ধরনের ওষুধ খান। কিন্তু আমি মনে করি, এই ধরনের কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। এই ধরনের ওষুধ খেলে অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, শরীরের ক্ষতিও হতে পারে।”
তিনি আরো বলেন “আমি একজনকে চিনি যিনি নিয়মিত ধূমপান করেন। তাঁর বয়স ৮৫ বা ৮৬ বছর। তিনি এখনও বেঁচে আছেন। অথচ তাঁর ছেলে কোনও নেশা না করেও হৃদ্রোগে মারা গেলেন। কার সঙ্গে কী হয়, তা বলা মুশকিল। মৃত্যুকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়াই ভাল।”
View this post on Instagram