প্রতিমুহূর্তে মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন ঐন্দ্রিলা, বান্ধবীর ক্যান্সার যুদ্ধে জেতার অপেক্ষায় সব্যসাচী
ক্যান্সার এমনই একটা অসুখ যা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। অনেক সময় আবার ক্যান্সার হেরে যায়, চিকিৎসা শাস্ত্র জিতে যায়। কিন্তু, এটাও যে সবসময় হয় এমনটা নয়। নাহ, কোনো মৃত্যু সংবাদ নিয়ে এই লেখা নয়। বরং এক আহত পাখির কথা রইলো।
তিনি অভিনেত্রী। নাম ঐন্দ্রিলা শর্মা। ছোট পর্দার ধারাবাহিকে তিনি চেনা মুখ। এই নিয়ে দুবার ক্যানসারের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এখনও চলছে তার লড়াই। হয়েছে অস্ত্রোপচার, চলছে একের পর এক কেমোথেরাপি। এ বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে ঐন্দ্রিলার ফুসফুসে।
নির্মম লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই ফুটফুটে হাসিখুশি মেয়েটি। শরীর অনেক ধকল সয়েছে। ক্লান্ত ঐন্দ্রিলা। তারপরেও ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে। তার বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী প্রতিনিয়ত তার খবরাখবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
এবারেও সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘কখনও ডানায় চোট লাগা পাখি দেখেছ? আমি প্রতিনিয়ত দেখি।’ কতটা নির্মম যন্ত্রণা হলে মানুষ এমন করে লেখে তা বোঝা কঠিন নয়। ঈশ্বরের আশীর্বাদ যেন ঐন্দ্রিলার মাথায় থাকে এবং তিনি যেন এই লড়াইয়ে জিতে যেতে পারেন এই কামনা রইলো।
সম্প্রতি অভিনেতা সব্যসাচী সংবাদমাধ্যমে জানান কেমো থেরাপি নেওয়ার পর ঐন্দ্রিলার অবস্থা কীরকম। তার কথায়, ‘কিছু কিছু দিন বড়ই কষ্ট পায়। মাঝে মধ্যেই রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। বিছানা থেকে মাথা তুলতে পারে না। রক্তের মধ্যেও বিস্তর গোলযোগ দেখা যায়’। একই সঙ্গে, ‘ব্রহ্মতালু থেকে শুরু করে পায়ের পাতা পর্যন্ত মারাত্মক যন্ত্রণা হতে থাকে। মুঠো মুঠো ব্যথার ওষুধেও যা কমতে চায় না। হাত-পা টিপে দিলে বা গরম সেঁক দিলে সাময়িক আরাম পায় ঠিকই, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। কড়া মাত্রার ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কোনও মতে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হয় ঐন্দ্রিলাকে’।