Raj Chakroborty: রাজের উপর ৩০ জন দুষ্কৃতীর হামলা, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই একের পর এক অশান্তি লেগেই রয়েছে ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরের নব নির্বাচিত বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) যখন নমিনেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর উপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল। এবার তাঁর বৈঠকের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠল।
29 শে অগস্ট ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন 1 নং প্ল্যাটফর্মের একটি ঘরে হনুমান মন্দির সংস্কার নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন রাজ। উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের পুরপ্রশাসক উত্তম দাস (Uttam Das), জেলার সহ-সভাপতি জয়জিৎ দাস (Jayjit Das) ও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সময়, আচমকা প্রায় তিরিশ জন দুষ্কৃতীদের একটি দল পিছন থেকে ঘরে ঢুকে সরাসরি রাজের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। এই ঘটনায় প্রায় ছয় জন তৃণমূল কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন রাজ। ইতিমধ্যেই টিটাগড় থানায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ্ চক্রবর্তী রবিবার হামলার মুখে পড়েন। রাজ্যের উপর হামলার খবর প্রকাশ পেতেই চিন্তায় পরে যান তার ফ্যানেরা। অনেকেই বিধায়ক তথা টলিউড পরিচালক এখন কেমন আছেন জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। আর এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজারকে জানিয়েছেন যে হামলার পর ইতিমধ্যে রাজ্ ব্যারাকপুর থেকে ফিরে এসেছেন বাড়িতে ও তিনি এখন ঠিক আছেন বাড়িতে।
রাজ্যের স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে আরো বলেন “চিন্তা করার কিছু নেই। রাজ ফিরে এসেছে। ওর বিশেষ কিছু হয়নি। ও ঠিক আছে।” রাজের শ্যালিকা অভিনেত্রী দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও একই কথা জানান। তাঁর কথায়, “খুব বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। আসলে যা ঘটেছে, বিষয়টিকে তার থেকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। রাজ ভাল আছে। ওকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজ্ সেদিন ব্যারাকপুরের এক হনূমান মন্দির নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য গিয়েছিলেন আর সেই সময় তার উপর হামলা চালায় ৩০ জনের একটি বাহিনী। তারা রাজ্ ও তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায় সরাসরি।
তৃণমূলের পোষ থেকে আরও অভিযোগ করে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনাটি তাদের দলের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে আশংকা জনক অবস্থায় পাঠানো হয়েছে কলকাতার একটি নার্সিং হোমে। তবে ওই দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কোনও তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।