বিনোদন

‘এতদিন সুরক্ষার কারণেই চুপ ছিলাম’, জন্মভূমি Afghanistan নিয়ে মুখ খুললেন সেলিনা জেটলি

গোটা বিশ্ব বেশকিছুদিন ধরেই আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে রয়েছে উদ্বেগে। আফগানিস্তান এখন রয়েছে তালিবানদের আয়ত্তে। রাজধানী কাবুল দখল করার পর তালিবান দিয়েছে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা। তবে সেদেশের নাগরিকরা পালতে শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। সারা বিশ্বের মতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলিউড তারকারাও।

আর সেই উদ্বেগ প্রকাশের তালিকায় রয়েছে রিয়া চক্রবর্তী, স্বরা ভাস্কর, কঙ্গনা রনৌত, আরমান মালিক, সোনি রাজদান, শেখর কাপুর, সোনু সুদসহ অনেকেই-

বিতর্কিত অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী আফগানিস্তানে মহিলাদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলিউড অভিনেত্রী সেদেশের মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গোটা বিশ্বের নেতাদের আহবান করেছেন।

গরিবের মসিহা বলে পরিচিত সোনুসুদ জানিয়েছেন যে গোটা বিশ্ব আফগানিস্থানে অধিবাসীদের পাশে রয়েছে।

আলিয়া ভাটের মা টুইট করে লিখেছেন “যখন একটি দেশ (ভারত) স্বাধীনতা উদযাপন করছে, তখন আরেকটি দেশ সব হারাচ্ছে। হায় পৃথিবী!”

অপরদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আফগানদের রক্ষার জন্যও প্রয়োজনীয় ট্রেন পাঠানোর জন্য তালিবানদের কাছে অনুমতি চেয়েছেন ও তাদের ‘অত্যন্ত সংযমী’ হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সেই সাথে আলোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেদেশে নতুন সরকার তৈরির জন্য তালিবানদের আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আর এবার নিজের জন্মভূমি আফগানিস্তান নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। সম্প্রতি তিনি ইন্সট্রাগ্রাম লাইভ এসে জানলেন মাতৃভূমির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মনের কথা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Celina Jaitly (@celinajaitlyofficial)

তিনি বলেন ‘অনেকেই আমাকে ফোন করেছেন, অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন আফগানিস্তান নিয়ে কেন আমি চুপ রয়েছি। কেন আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি না। আমার এই চুপ থাকাটাকে দুর্বলতা হিসেবে ধরে নেবেন না। আমি এড়িয়েও যেতে চাইছি না। আসলে আফগানিস্তানের অবস্থা দেখে আমি স্তম্ভিত। বিশ্বাসই করতে পারছি না, আমার জন্মভূমিতে এসব ঘটছে। চিন্তা হচ্ছে আফগানিস্তানে এবং গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা আফগান মানুষদের জন্য। সেই মানুষদের জন্য কষ্ট হচ্ছে, যারা নতুন করে আফগানিস্তানকে গোটা দুনিয়ার কাছে তুলে ধরছিলেন। তাঁদের এই প্রচেষ্টা একেবারেই চূর্ণ হয়ে গেল। নিজেকে অসহায় লাগছে। ভিতর থেকে ভেঙে গিয়েছি। হ্যাঁ, আমি ভাগ্যবান যে আফগানিস্তানের সঙ্গে নাড়ির টান থাকলেও, আমি এখন সেই দেশে থাকি না। আর এটা সম্ভব হয়েছে, আমার প্রপিতামহীর জন্যই, যিনি সাহস করে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারত এমন এক দেশ, যা আমাদের পরিবারকে সম্মান দিয়েছে। মাথায় ছাদ দিয়েছে। আর সেই কারণেই আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি। বলতে পারছি আমার ক্ষোভ, আমার প্রতিবাদের কথা…’

Back to top button