পুলিশ অফিসারের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে জন্মদিনের কেক খেলেন পরীমনি, গোপন ও ঘনিষ্ঠ ভিডিও ভাইরাল
স্মৃতি শামসুন্নাহার, যিনি পরীমনি নামে অধিক পরিচিত দুই বাংলাতে। একদিকে বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী দুই হিসেবে বেশ খ্যাত। তবে বেশ কিছুদিন ধরে নানান বিতর্কে এই ঢালিউড অভিনেত্রীর নাম উঠে আসছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ অফিসার গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে অভিনেত্রী পরীমনির ঘনিষ্ট মুহূর্ত ভাইরাল হয়ে যায়। আর এরপরেই দুইজনের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়ে যায় নানান তর্ক বিতর্কের ঝড়।
অবশ্য এর আগেই শোনা গিয়েছিল, এই তদন্তকারী এই অফিসার নাকি অভিনেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। আর নিজের প্রেমের কথা নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ভিডিও শেয়ার হতেই বাংলাদেশের মানুষ অভিনেত্রীকে এখন ছি ছি করছে। কি আছে সেই ভিডিয়োতে যার জন্য মানুষ এরকম আচরণ করছেন?
ইউটিউবে শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তদন্তকারী অফিসার গোলাম সাকলায়েনের জন্মদিন সেলিব্রেশন চলছে এক রেস্তোরাঁয়। একটা নীল রঙের সুন্দর কেক কাটছেন পুলিশ আধিকারিক। আর অফিসারের ঠিক পাশেই বসে আছেন পরীমনি। দু’জনে হাত ধরে একসাথে কেক কাটলেন এবং সাকলায়েনকে কেক খাইয়ে দিলেন পরী। তারপরে প্রকাশ্যে চুমু খেলেন সেই গোলাম সাকলায়েনের ঠোঁটে। এখানেই শেষ নয়, এরপর একটা বড় কেকের টুকরো নিজের মুখে নিয়ে খাইয়ে দিতে দেখা গেল সাকলায়েনকে।
প্রসঙ্গত,কিছুদিন আগেই মাদক কান্ডের অভিযোগে আটক হয়েছিলেন পরিমণী। নানান দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাঁকে। শুধু এখানেই শেষ নয় এর আগে, ১৩ জুন পরীমনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে এক নামী ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তাঁর সঙ্গীরা। আর এই ঘটনার তদন্তের সময়ে গোয়েন্দা পুলিশ কর্তা গোলাম সাকলায়েন-এর সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমনির। আর তার পরেই দুজনের প্রেম ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে।
পরিমনীর বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্তের সময় অভিনেত্রী সাকলায়েনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন। অভিনেত্রীর সাথে পরিমনীর পরিচয়ের সময়ে তিনি জানতেন, তাঁকে তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছিল সে অবিবাহিত। তারপর কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসে। পরে জানতে পারেম সাকলায়েন ডিভোর্সি। আসল সত্য জানতে পেরে রেগে যায় পরী। কিন্তু তখন সাকলায়েন জানান তিনি ডিভোর্সি। এরপরেই রেগে যান। একসঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতেও বেরোতেন এই যুগল। পরীমনির বাড়িতে যাতায়াত ছিল সেই পুলিশমশাইয়ের। তবে অভিনেত্রীর আটক হওয়ার পর নিজের এই প্রেমের কথা জানান। আর এই খবর তদন্তের সময় জানাজানি হতে পুলিশ আধিকারিককে বদলিও করা হয়েছে।