রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়ে দেবশ্রী এখন ‘সর্বজয়া’, নায়িকা না হলে কোন পেশায় যুক্ত হতেন অভিনেত্রী!
টলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছিলেন না অভিনয় জগতে। কিন্তু অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে রাজনীতির মঞ্চে। কিন্তু তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন। আবার ফিরেছেন অভিনয়ে। ষ্টার জলসায় ‘সর্বজয়া’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি প্রবেশ করতে চলেছেন টেলিভিশনে। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে সম্প্রচারিত হবে এই ধারাবাহিক।
বাংলা টেলিভিশনে একসময় বহু সিনেমাতে অভিনয় করেছেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। অভিনয় দিয়ে করেছেন দর্শকদের মন জয়। ১৯৮৮ সালে বি আর চোপড়ার মহাভারত এ প্রথম সত্যবতী চরিত্রে অভিনয় করেন। যেটি দর্শকদের খুব পছন্দ ছিল। তারপর অভিনেত্রীকে দেখা যায় প্রথম বাংলা সিরিজ দেনাপাওনা তে দেখা যায়।একটা সময় তিনি ভারতীয় লোকনৃত্যকে পাশ্চাত্য মঞ্চে উপস্থাপনা করেন এবং ধ্রুপদী ও লোকনৃত্যের সংমিশ্রণে এক অপূর্ব নৃত্যকৌশলী রচনা করেন। এই মানুষটিই ১৯৯৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি রাজনীতির ময়দান ছেড়ে আবার অভিনয়ে আসার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। আবার দীর্ঘ ১০ বছর পর তিনি ফেরেন অভিনয়ে। কিন্তু তাকে শুনতে হয়েছে নানান কুকথা । কিন্তু তিনি থেমে না থেকে প্রতিবাদ করে এগিয়ে গেছেন। সেই সময়ের ‘কলকাতার রসগোল্লা’ যা আজও বিখ্যাত।
আবার তিনি ক্যামেরার সামনে। বাংলীর সেই পুরোনো অভিনেত্রী। ‘সর্বজয়া’ ধারাবাহিকে তার চরিত্র একজন গৃহবধূ। তিনি তার সন্তানদের বড় করার জন্য নিজের জীবনের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছেন। সংসার, স্বামী, সন্তান পুরোপুরি তাঁর উপর নির্ভরশীল। আর এতেই তিনি খুশি। অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন,”দেবশ্রী রায় অভিনেত্রী না হলে ডান্সার হত। স্টেজ পারফর্মার। একই সঙ্গে সিঙ্গার হত।” কারণ একটা মানুষ স্বপ্ন ছাড়া বাঁচতে পারে। প্রত্যেকটা মানুষ জীবনে কিছুনা কিছু স্বপ্ন দেখে।