‘এরকম কাজ করার কি দরকার ছিল’, বিপর্যস্ত শিল্পা উত্তেজিত হয়ে রাজকে জিজ্ঞাসা করেন
নানারকম অভিযোগে জর্জরিত রাজ কুন্দ্রাকে গত ১৯ -এ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। তার উপরে পর্ন ভিডিও বানিয়ে সেগুলি নানারকম অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলো নিয়ে নানারকম চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭০ টি পর্ণ ভিডিও, উদ্ধার হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট, যেখানে স্পষ্ট তার ব্যবসার নাড়ি নক্ষত্র।
দিন যতই যাচ্ছে, রাজ কুন্দ্রার পর্নো-কাণ্ডের প্রাসঙ্গিকতা ততই জোরদার হচ্ছে। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এবার রাজের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন তারই চার কর্মচারী! অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের কাজে সহযোগিতা করছেন না রাজ। ফলে মামলা কোন দিকে এগোবে, তার অনেকটা নির্ভর করছে রাজের এই ৪ কর্মচারীর বয়ানের উপর। পর্নো তৈরি এবং এই ব্যবসা চালানোর জন্য রাজ কিভাবে টাকা বিনিয়োগ করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করছে অপরাধ দমন শাখা। জানা গেছে রাজের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই চার কর্মচারীকে। এও জানা গেছে যে তাদের সমস্ত বয়ান রেকর্ড করা হবে। তবে জানা যায় যে এই চারজনের বয়ান জানার পরে আরও জটিল হতে পারে রাজ কুন্দ্রার কেস।
জানা যায় যে রাজ ও শিল্পকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা দুজনেই নিজেদের মধ্যে বসচায় জড়িয়ে পড়েন। শিল্পা জানান যে তার স্বামী যে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানিয়েছে সেই বিষয়ে তিনি জানেন না। এক সূত্র মারফত জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের পর শিল্পা নাকি খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে নাকি তাঁর ঝগড়াও হয়। স্বামীর উপর চিৎকার করতে শুরু করেছিলেন শিল্পা। তাঁকে নাকি সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন পর্নোগ্রাফি করার কী দরকার ছিল তাঁর? এবং কেন তিনি নিজেকে এইসব কাজে জড়িয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, সূত্র বলছে, শিল্পা নাকি পুলিশের সামনে হাত জোড় করে বলেছেন, তিনি অ্যাপটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি নাকি কিছুই জানতেন না।
এরই মধ্যে উঠে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় যে মার্চ মাসেই পর্নোগ্রাফি কেসের জন্য ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজ নাকি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। সেই কারণেই তিনি ওই মাসেই নিজের ফোন পাল্টে ফেলেছেন। ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা তাঁকে পুরনো ফোনের ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করেন। উত্তরে রাজ জানান, তিনি ফোনটি ফেলে দিয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ যে ওই ফোন-এ হয়তো এমন কিছু ছিল যার জন্য প্রমান হয়ে যেত যে রাজ দোষী মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, রাজ কুন্দ্রার পুলিশি হেফাজতে শেষ দিন। যদিও মুম্বই পুলিশ তাঁকে আরও কিছু দিন হেফাজতেই রাখতে চাইছে। ক্রমশ জটিল হচ্ছে রাজ কুন্দ্রার কেস।