অবশেষে সাত পাকে বাধা পড়লেন সাত্যকি-ঊর্মি, কেমন হবে দুটি আলাদা মেরুর মানুষের তাদের সাথে সংসার!
এই বছরেই গত ১২ ই মার্চ টেলিভিশনের পর্দায় আসে নতুন ধারাবাহিক,”এই পথ যদি না শেষ হয়”।ইতোমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক।গল্পের মধ্যে উর্মি ও সাত্যকি তাদের পরিবারের সাথে সাথে বলতে চলেছে কলকাতা শহরের গল্প। এই গল্পের উর্মি একজন শহরের উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে কিন্তু তার বিপরীতে থাকা সাত্যকি একজন মধ্যবিত্ত হাসি-খুশি পরিবারের ছেলে।
গল্পের মধ্যে চলতে থাকে নানান দুস্টুমি। যারা কিনা একে অপরকে সহ্য করতে পারতো না তারা এবার সাত পাকে বাধা পড়লো। কিন্তু ঊর্মি বিয়ে না করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু ফিরে এসে সাত্যকির গলায় মালা দিতে হল। দাদুর সম্প্রদানে বিয়ে হল উর্মি সাত্যকির। যত্নে রাখার আবদার নিয়ে সাত্যকির হাতে তুলে দেন উর্মিকে। এদিকে ঊর্মির দুস্টুমি কমে না সে সত্যকির কানে কানে বলে যে আমি খাঁটি সোনা আমাকে যত্নে রাখবেন।
তারপর আসে মালা বদলের পালা। মালা বদলের আগে কিছু দুস্টুমি চলে। মামনি এসে একটা দুর্দান্ত নিয়ম বলেন মালা বদলের। বুড়ো আঙুলের উপর দাড়িয়ে কালপুরুষের দিকে তাকিয়ে ডান দিক বাম দিক হেলে নাকি মালা বদল করতে হবে। তাতেই ঊর্মি রাজি হয়ে যায়। মামনি তার নিয়মের টক্কর দিতে হাজির, এদিকে একজন বলে বসে কেন কালো শাড়ি পরে হাজির হয়েছেন তিনি? সবকিছু মিলিয়ে যেন বিয়েতেও নানারকম দুস্টুমি মজা চলতে থাকে। উর্মির পরনে নীল ব্লাউজ আর লাল বেনারসি, মাথায় সাদা ওড়না। আর সাত্যকি বরের সাজে ধুতি পাঞ্জাবি পরে হাজির।
View this post on Instagram
কিন্তু বিয়ে করবে না বলে পালিয়ে যাওয়া ঊর্মি শেষে কিনা সাত্যকির গলাতেই মালা পড়াতে হল। এদিকে ঊর্মি যখন পালিয়েছিল তখন তাকে সাহায্য করেছিল রিনি। কারণ সে চায় না যে ঊর্মি আর সাত্যকির বিয়ে হোক। বিয়ে না হতে দেওয়ার জন্য সে সিঁদুরের কৌটো লুকিয়ে রাখে পরে অবশ্য উদ্ধার করা হয় সেই সিঁদুরের কৌটো। অবশেষে দারুন জমজমাটি করে সম্পন্ন হল তাদের বিয়ে।