সিড-এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় ঘোষণা, আলাদা পথে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবে ‘মিঠাই’!
ক্রমশ টানটান পর্ব চলছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে। সিদ্ধার্থে সাথে ‘মিঠাই’-এর ডিভোর্সের জন্য একেবারে উঠে পরে লেগেছেন তোর্সা। তবে বিচ্ছেদের জন্য কোর্টের দ্বারস্থ হলে একের পর এক নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছে কোর্ট। আসলে আইনি মতে বিচ্ছেদের পথ অনুসরণ করলেও স্বয়ং বিচারকও চান না যে একটা সম্পর্ক এভাবে শুধুমাত্র খাতা-কলমের জোরে ভেঙে যাক।বিচারকও নানা কৌশলের মাধ্যমে চেষ্টা করেন যাতে ভাঙ্গা সম্পর্ক জোড়া লাগানো যায়। কিন্তু শেষ অবধি বিচ্ছেদ হয়েই গেল।
এদিকে সিড তো ডিভোর্স দেবেই মিঠাইকে। তাই আদালতে মিঠাই-এর নাম যে মিথ্যে অভিযোগ করে সিড তা মাথা পেতে নেয় মিঠাই ও বিবাহ বিচ্ছেদ দিয়ে দেয়। তার এই মহত্ব দেখে অবাক হয়ে যান উকিল জ্যাঠামশাই। মিঠাই তাঁকে বলে, মিঠাই-এর জন্য তাঁর অসম্মান হয়েছে। এই কথা শুনে উকিল জ্যাঠামশাই বলেন তিনি মিঠাইয়ের জন্য গর্বিত। সারাজীবন তিনি মিঠাই-এর পাশে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন।কিন্তু মিঠাই-এর কারুর সাহায্যের প্রয়োজন নেই তাই সে নিজের মত করেই বাঁচতে চায়।
এদিকে সিড-কে পাবার জন্য তোর্সা-ও উঠে পরে লেগেছিল কি করে মিঠাই-এর ডিভোর্স করানো যায়। তবে মিঠাই-এর কোনো জবাব নেই। এর আগে যখন বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কথা উঠেছিল মিঠাই বলেছিল সে মিষ্টির দোকান দেবে ও স্বাবলম্বী ভাবে বাঁচবে। মনোহরা নিয়ে এসে কলকাতার বুকে বিক্রি করবে। মিঠাই-এর মধ্যে সেদিন দেখা গিয়েছিল অগণিত নারীদের যাঁরা ভোর হতে না হতেই মফস্বল থেকে ট্রেন ধরেন শহরে সব্জি বেচতে যাওয়ার জন্য। সম্মান রক্ষার্থে মিঠাই-এর সঙ্গে সিদ্ধার্থর বিয়েতে সবাই দোষারোপ করেছিল মিঠাইকে। সিড মানতে পারেনি মিঠাই-কে। মিঠাই সবকিছু নিজে মুখ বুজে সহ্য করেছে। কিন্তু তবুও সে চুপ থেকেছে।
তবে সিদ্ধার্থের সাথে মিঠাই-এর বিবাহ বিচ্ছেদে তার জীবনে শুরু হল এক নতুন অধ্যায়। এবারে হয়তো মিঠাই-কে দেখা যাবে অন্য রূপে। হয়তো তাকে সকলে দেখবে সে একদিন সফল মিষ্টিবিক্রেতা হয়ে বড় ব্যাবসায়ী হয়ে উঠেছে। সেই আশায় দর্শকরা। নতুন চমকের জন্য মিঠাইকে তার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।