দেখতে দেখতেই দাম্পত্য জীবনের ১২ বছর কাটিয়ে আবেগে ভাসলেন সুদীপা। বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে, সন্তান… একটা লম্বা সময়। ১২ বছর পূর্ণ করে সুদীপা বলছেন, সংসার করতে তাঁর বড় ভাল লাগে। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি শেয়ার করছেন অজানা কথা। এদিন সুদীপা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়..,ঠিক তখনই উপলব্ধি হলো- ১২’টা বছর পার করে দিলুম একসাথে। ঝগড়া-মান-অভিমান-রাগ-অনুরাগ কোনোটাই বাদ যায়নি,কিন্তু এর কোনোটাই আমাদের একে অপরের থেকে দুরে সরাতে পারেনি আজও। বেড়াতে যাওয়া ছাড়া- একটা দিনও আমি এ-বাড়ী ছেড়ে থাকিনি,বা থাকতে পারিনি। সংসার করতে আমার বড় ভালো লাগে।”
জী বাংলা ‘রান্নাঘর’-এর একজন অন্যতম মুখ হলেন সুদীপা তিনি মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। তাই বিবাহবার্ষিকীতে ঘরোয়া ভাবেই পালন করলেন। এদিন সুদীপা নিজের হাতে কাবাব রান্না করে খাওয়ালেন সবাইকে। তবে বাড়িতে আর কে পটের বিবি হয়ে থাকেন।তাই একদম ঘরোয়া পোশাকেই ধরা দিলেন তিনি। বাড়ির ডাইনিং টেবিলের উপর বারবিকিউ বসিয়ে কাকোরি কাবাব তৈরি করে সবাইকে খাওয়ালেন সুদীপা। সুদীপা তাঁর কাবাব তৈরির ভিডিও ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করে লিখেছেন, এদিন তাঁদের বাড়ির বসার ঘরটি কাবাব গলি হয়ে উঠেছে।এদিন অতিথিদের নিজের হাতে কাবাব বানিয়ে খাইয়ে বেশ খুশি তিনি।
২০১৫ সাল থেকেই পরিচালক অগ্নিদেব চট্ট্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি আইনি ভাবে বিয়ে করে নেন। অবশ্য অনেকদিনের সম্পর্ক তাদের। ২০০৮ থেকে শুরু হয় সম্পর্কের। সেই বছরই অগ্নিদেব এর বাড়ি যান প্রথম সুদীপা। গিয়ে সেখানে নরক পোষ্য কুকুর দেখে আনন্দে আত্ত্বহারা হয়ে যান সুদীপা। ব্যাস সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকার। শুরু হয় লিভ ইন সম্পর্ক।
তিনি ও তার স্বামী বড় ছেলে আকাশ ও ছোট ছেলে আদিদেব তাদের সকলকে নিয়ে সুখের সংসার সুদীপার। সুদীপা ‘রান্নাঘর’ এর সঞ্চালনার পাশাপাশি নিজের একটি রেস্টুরেন্ট খুলেছেন তিনি। যার নাম দিয়েছেন ‘সুদীপার রান্নাঘর’।এটা শুধু মানুষের খাবার জন্য নয় এখানে পোষ্যদের জন্যেও আছে পুষ্টিকর খাবার। সবকিছু মিলিয়ে বেশ সুখে শান্তিতে ভরপুর সুদীপার সংসার।
View this post on Instagram
