ঠিকমত জুটছে না খাবার, জঙ্গলে ভর্তি ভাঙা বাড়িতেই দিন কাটাচ্ছেন লতাকন্ঠী রানু মণ্ডল, ভাইরাল ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ায় গত বছর রানাঘাটের একজন বয়স্ক মহিলা যিনি স্টেশনে ভিক্ষে করে নিজের জীবন যাপন করতেন। তার গানের গলা খুব ভালো যার জন্য একটি গান গেয়ে রাতারাতি ষ্টার হয়ে গিয়েছিলেন। অতীন্দ্র নামে এক ভদ্রলোক নিজের মোবাইল থেকে ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানের একটি ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভাইরাল করলেন যার জন্য তিনি রাতারাতি ষ্টার হয়ে গেলেন ও তার দুর্ব্যবহারের জন্য আবার রাতারাতি আগের জায়গাতেই ফিরে আসলেন।
রানাঘাটে থাকতেন তিনি। তারপরেই রানাঘাট থেকে পাড়ি দেন সরাসরি বলিউডে। রীতিমতো তারকার সম্মান পেয়েছিলেন এই রানু মন্ডল। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে গান গেয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন রানু। পরে একটি সাক্ষাৎকারে এই অতীন্দ্রকে ‘ভগবানের চাকর’ বলেন। এতেই প্রকাশ পে তার অহংকার। যার হাত ধরেই এতো সম্মান লাভ করলো এই লতাকন্ঠী তাকেই শেষে ভুলে গেলেন।
ভাগ্যের কি খেলা। নাম হওয়ার পরে রাতারাতি রানু একসময় পুরোনো বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে করোনা অবহেও আবার তাকে আগের জায়গাতেই ফিরে আসতে হয়। অভাবে পরে আবার স্টেশনে ফিরে যান রানু মণ্ডল। বলিউড থেকে আর কোনও ডাক আসেনি মহামারীর কারণে।প্রথমেই এত খ্যাতির মুখ দেখে রানুর এই উদ্ধত আচরণ কেউ মেনে নিতে পারছিলেননা। তাই আবার তাকে ভক্তরাই আগের জায়গাতেই ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
যিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি গতবছর লকডাউনের সময় রানাঘাটের একটি ভাড়াবাড়িতে ছিলেন কিন্তু বর্তমানে তিনি কেমন আছেন? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছ। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি রানাঘাটের এক চার্চের পাশে একটি বাড়িতে এখন থাকেন রানু। আগের দিনের ভাত বেচে থাকলে ফের ফুঁটিয়ে খান পরের দিন। এই ভিডিওতে গায়িকা রানু মণ্ডল জানান, ‘হঠাৎ করেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছিল, বেশ ইমপ্রুভ হয়েছিল।’ আবার সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গেছে এখন তিনি এই পরিস্থিতিতে ঘরের মধ্যে রয়েছেন। সবটাই ভগবানের দান হিসেবে মেনে নিয়েছেন।
শুধু তাই নয় রানাঘাটের লতাকন্ঠী রানু মণ্ডল বর্তমান করুন পরিস্থিতির মফয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এদিন রানুকে নিজের মেয়ের সম্পর্কেও কিছু বলতে বলা হলে তিনি এই প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে বোঝা যাচ্ছে, সুখের সময় এসেছিল রানুর আপনজন। যেই রানুর জীবনে সুখ ফুরালো সেই তখনই সকলে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। মেয়ের প্রসঙ্গে রানু বলেন, “এখন তো আমার সাথে কেউ নেই, আমি একাই আছি।” সুযোগ পেলে তিনি কি আর গান গাইবেন এও জিজ্ঞেস করা হয়? এ প্রশ্নেরও উত্তর দেন রানাঘাটের রানু। তিনি জানান, এটাও পুরোপুরি ভগবানের ইচ্ছা। তার কথায় ভগবান না চাইলে তো কিছু হবে না।