এবারে সন্তানের নামের উচ্চারণ নিয়েই নানারকম বিভ্রান্তি, বাধ্য হয়েই যা করলেন গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল!
প্রত্যেকটা মেয়েই জীবনে মা ডাক শুনতে চায়। প্রত্যেকটি মেয়েরই স্বপ্ন থাকে যে কবে মা ডাক শুনতে পাবে। কারণ একটি মেয়ের কাছে মা হওয়া থেকে সুখের কিছু নেই। এবারে বহু বাধা বিপত্তি পার করে গত ২২ শে মে মা হলেন সংগীত জগতের একজন অন্যতম গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। শ্রেয়া ও তার স্বামীর মাঝে আসা ছেলেকে ‘শ্রেয়াদিত্য’ বলে সম্বোধন করেন শ্রেয়া।
এবারে গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালের জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হল। এতদিন ছিলেন শুধু স্ত্রী এবারে তিনি হলেন মা। তার কাঁধে এখন গুরু দায়িত্ত এসে হাজির কারণ তার সন্তানকে বড় করে তুলতে হবে। একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের মা হয়ে জীবনের নতুন পথে হাত শুরু করলেন গায়িকা শ্রেয়া। এদিন নিজের ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানান যে তিনি এবং তার স্বামী একটি পুত্র সন্তান প্রাপ্ত হয়েছেন।মা ও ছেলে সকলেই ভালো আছেন।
সন্তান জন্মানোর পর শ্রেয়া ঘোষাল নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন ‘ভগবানে আশীর্বাদে আমাদের কোলে ছোট্ট পুত্রসন্তান এসেছে। কিন্তু এবারে শ্রেয়া পুত্রের নামকরণ নিয়েই ঘটছে বিভ্রান্তি। ছেলের নাম প্রকাশের পর অনেকেই জানতে চায়, Devyaan নামের সঠিক বাংলা বানান কী? 1. দেবায়ন, 2. দেবযান, 3. দেবয়ান, 4. দেব্যান।এই ট্যুইটটিকে রিট্যুইট করে শ্রেয়া লেখেন, ‘আমার প্রিয় সমস্ত বাঙালি অনুরাগীদের বলছি, বাংলায় Devyaan-এর নামের সঠিক বানান – দেবয়ান।’ শ্রেয়ার ট্যুইট দেখেই পরিষ্কার হয় একরত্তির নামের বানান।
All my dear Bengali fans♥️
The right way of writing Devyaan’s name in bangla is3. দেবয়ান https://t.co/qUqinUHPWf
— Shreya Ghoshal (@shreyaghoshal) June 2, 2021
নামকরণ নিয়েই এরকম বিভ্রান্তি দেখা যায়। অনুরাগীরা অনেকেই সেই নামের সঠিক উচ্চারণ করতে পারছিলেন না। গায়িকা নিজের ছেলের ছবি প্রকাশ্যে না আনলেও। ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে একটি ছবি তিনি পোস্ট করেন এবং সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ছোট্ট খুদের। এদিন পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে নিজেই লেখেন,”আলাপ করিয়ে দিই, ও দেবয়ান মুখোপাধ্যায়। ২২ মে ও এসে আমাদের জীবনটাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। ও জন্মনোর পর যখন ওকে প্রথমবার দেখি একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল। এটা কেবল একজন মা-বাবাই সন্তানের জন্য অনুভব করতে পারে। এখনও এটা স্বপ্নের মত মনে হয়। শিলাদিত্য আর আমি আমাদের জীবনের সেরা উপহারটা পেয়েছি।” বর্তমান মা ও ছেলে দুজনেই ভালো আছেন।