‘খড়কুটো’র মত বেহাল দশায় পরে আছে ‘মোহর’, খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে নতুন পর্ব আসার সম্ভাবনা
লকডাউন যে শুধু সাধারণ মানুষের ঘরে প্রভাব ফেলেছে তা কিন্তু। বলিউড টলিউড ও ছোট পর্দার ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত জাঁয়গাতেই এর প্রভাব পরে গেছে। শ্যুটিং ফ্লোরে ঝুলছে তালা যার ফলে সকল কলাকুশলীরা এখন বাড়িতেই। আগে যা যা শ্যুটিং করা ছিল, সেগুলি এক প্রকার চলছে অল্প অল্প করে। পাশাপাশি দর্শকদের বিনোদনের জন্য অল্প অনুষ্ঠান আর বিজ্ঞাপন দিয়ে সময় গ্যাপ ঠিক করা হচ্ছে। বর্তমান যেভাবে ধারাবাহিক দেখতে পাচ্ছেন তাতে আশা করা যায় আর দুদিন কিন্তু তারপর কি করবেন তারা?
বর্তমান শ্যুটিং ফ্লোর বন্ধ থাকায় হচ্ছে না নতুন করে শ্যুটিং। যে ফলে ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ করে ধারাবাহিক চালিয়ে যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। শুধু তাই এখানে দেখা দিয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশন-এর জন্য। ধারাবাহিকের ভান্ডার ঘর এখন শূন্য। যা যা শ্যুট করা ছিল তার অধিকাংশ দেখানো হয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার বাড়ি থেকে শ্যুট করার বিরোধ লেগে গেছে ফেডারেশন এবং আর্টিস্ট ফোরামের মধ্যে। কিন্তু এই বিরোধ কিসের?
শ্যুটিং বন্ধ থাকায় আর্টিস্ট ফোরামের সকলে কাজ থেকে বিরত। কিন্তু লকডাউনে তারা কোথায় যাবে শ্যুট ফ্রম হোম করলে মেক আপ আর্টিস্ট, বা অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজন পড়বে না, ফলে তারা উপার্জন থেকে বঞ্চিত হবেন।তাই সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, যেখানে বলা আছে, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে সেই ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরাও তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবেন। ফেডারেশনের বক্তব্য, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে শুধু অভিনেতা এবং প্রযোজকের ঘরেই টাকা আসবে। যেখানে কলাকুশলীরা কিছুই পাবে না।
কয়েকদিন ধারাবাহিকের যে এপিসোড ষ্টোকে ছিল তা ক্রমশ সেসর দিকে। যা স্টক আছে খড়কুটো ও মোহর-এর মত ধারাবাহিকের ৩রা জুন তারিখের পর কী হবে কেউ জানে না।এপিসোডের ব্যাংকিং নেই, কোনো শ্যুটিং নেই, কাজ নেই, তবে দর্শকরা কী দেখবেন টিভি খুলে? তার মধ্যে কলাকুশলীদের নানান বক্তব্য। এখন এটাই দেখার অপেক্ষা যে টলিপাড়ার এই উত্তেজনা কতদূর গড়ায়।