বিতর্কে এবার জনপ্রিয় ধারাবাহিক! কোভিড-বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘মিঠাই’ টিম সারলো শ্যুটিং?
জী বাংলায় একটি অত্যন্ত্য জনপ্রিয় সিরিয়াল হল ‘মিঠাই’। কম সময়ের মধ্যে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন মিঠাই ও তার পরিবারের সকল সদস্য। প্রত্যেকেরই অভিনয় বেশ ভালো লাগে দর্শকদের।তবে গত কয়েকদিনের এপিসোড দেখা গিয়েছে মিঠাই ও সিদ্ধার্থের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাহলে মিঠাই কোথায় থাকবে কোথায় যাবে। এর উত্তরে মিঠাই বলেন সে নিজের ব্যবস্থা নিজেই করে নেবে। মিঠাই কারও সাহায্য নিতে চায় না।সে বলে, তার পাওয়া প্রাইজের টাকা দিয়ে একটা ছোট্ট দোকান খুলবে, মনোহরা নিয়ে এসে কলকাতায় বিক্রি করবে। কিন্তু ‘মিঠাই’-এর মনে সিদ্ধার্থের জন্য জমে আছে অনেক অভিমান। ওদিকে সিদ্ধার্থরও যে বিবাহ বিচ্ছেদের ইচ্ছা নেই।সত্যিই কি মিঠাই ও উচ্ছেবাবুর ডিভোর্স হয়ে যাবে? এর উত্তর জানা যাবে পরের পর্বগুলোতে।
বর্তমানে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে রয়েছে লকডাউন। যার জন্য বন্ধ রয়েছে শ্যুটিং ফ্লোর।রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত ১৫ই মে ফেডারেশনের তরফে স্বরূপ বিশ্বাস ঘোষণা করেন ৩০ শে মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সবরকমের শ্যুটিং।তবে শ্যুটিং বন্ধ থাকলেও যেন থিম নেই গত দুই সপ্তাহের এপিসোডগুলি। কয়েকদিন হলো বাড়িতে থেকেই শ্যুটিং চালিয়ে যাচ্ছে অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তবে এর মাঝেই বিতর্কের ঝড় উঠে এলো। যেখানে নাম জোরালো জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’এর ।
জানা গিয়েছে, ফেডারেশনের জারি বিজ্ঞপ্তি লঙ্ঘন করে লুকিয়ে শ্যুটিং হয়েছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের । তবে কি ১ নম্বর শো-এর তকমা ধরে রাখবার চাপেই বিধি ভেঙেছে ‘মিঠাই’ টিম? এমনকি কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, আদৃত রায়ের বাড়ির কাছেই নাকি আউটডোরে হাতেগোনা টেকনিশিয়ান নিয়ে শ্যুটিং হয়েছে। কিন্তু এবারে ফেডারেশনের কাছে কিছুই হদিশ নেই ! এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সকলে । ‘মিঠাই’ টিমের সকলেই এই ব্যাপারে অস্বীকার করেছেন। ‘মিঠাই’ টিমের দাবি তারা ১৫ মে থেকে বাড়িতে বসেই শ্যুট করছেন। তবে এই ব্যাপারে মিঠাই অর্থাৎ সৌমতৃষার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘এ ব্যাপারে চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিলে ভাল হয়।’ যদিও চুপিসাড়ে শ্যুটিংয়ের ব্যাপারে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা প্রযোজনা সংস্থার তরফে এখনো পর্যন্ত কোনওরকম মন্তব্য করা হয়নি ।