কাঁচি দিয়ে বম্ব ডিফিউজ! অবাস্তব ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও শেষ দিন অবধি ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিক ছিল সুপারহিট
বাঙালির সন্ধ্যে মানেই সিরিয়াল। এইদিকে ওয়েবসিরিজের যতই বার বাড়ন্ত হোক না কেন ,বাংলা সিরিয়াল এখনো প্রচুর দর্শক দেখে। সন্ধ্যে থেকে রাট পর্যন্ত চলতে থাকে একের পর এক ছোট ছোট গল্পের সারি। নায়িকার নাম জবা যাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল চলতে থাকে। এর মধ্যেই ‘কে আপন কে পর’-এর নায়িকা জবা কাঁচি দিয়ে বম্ব ডিফিউজড করেছিল। যাকে নিয়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মিম তৈরি করে মানুষ মজা লুটেছিল ।
একজন পরিচারিকা বাড়ির বৌ হয়ে ওঠে 2016 সালে শুরু হয়ে 2020 সালের 27 শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল ‘কে আপন কে পর’। সংসার বাঁচানোর জন্য একের পর রূপে ফিরেছেন জবা ওরফে ‘পল্লবী শর্মা’। এক কোথায় বলতে গেলে ‘কে আপন কে পর ‘বাঙালিদের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগেই। এমনকি জবার মৃত্যু এবং তার আচমকাই ফিরে আসা নিয়ে মানুষের মনে এক নতুন আগ্রহের জন্ম দিয়েছিল। এবং সেই পর্ব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক হাসির রোলে উঠেছে।
এই গল্পে জবার বার বার যাওয়া আসা নিয়ে এতো মিম তৈরি হয়েছে যেখানে জবা একই একশো। এই ধারাবাহিকটিতে জবার মৃত্যু নিয়েও বেশ রসালো আলোচনায় মজেছিলেন বহু নেটিজেনরা। জবার কাঁচি দিয়ে বম্ব ডিফিউজড করার পালা। তাও দর্শক মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু দিওয়ালির রাতে জবাকে খুন করা হয়। কিন্তু সে তো জবা। জবা অমর। ফলে জবা এবার কবর খুঁড়ে বেরিয়ে এসে পঞ্জাবি শিখ পুরুষ সেজে রহস্যভেদ করে। এরপর অবশেষে জবার কাহিনীর ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হয়।
২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ছিল শেষ শুটিং। শুটিং শেষেই কেঁদে ভাসান ‘কে আপন কে পর’ এর পুরো টিম। এমনকি জবাকে জড়িয়ে ধরেও অনেকে কাঁদে। তাদের এতো বছরের জার্নি। আর মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে সন্ধ্যা মানেই জবা। তাই একসঙ্গে সবাই কেক কেটে সেলিব্রেট করে শেষ করেন ‘কে আপন কে পর’ এর জার্নি।কিন্তু ধারাবাহিকের টিআরপি কখনো কম ছিল না।