ফাইনাল খেলায় লজ্জাজনক হার, অভিমানে আত্মঘাতী হলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জনপ্রিয় কুস্তিগীর
বলিউডের অন্যতম সুপারহিট সিনেমার মধ্যে অন্যতম একটি সিনেমা হলো দঙ্গল। আমির খান অভিনীত ওই সিনেমায় উঠে এসেছিলো হরিয়ানার বিখ্যাত ফোগট পরিবারের গল্প। রাতারাতি খ্যাতি পাওয়া সেই ফোগট পরিবারে এখন বইছে শোকের হাওয়া। কারণ সেই পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন রিতিকা ফোগট।
রিতিকার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। সে দুই দিদি গীতা ও ববিতার মতোই ভালোবাসতো কুস্তি করতে। ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীরের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন গীতা ও ববিতা ফোগত। তাদের আদরের ছোট বোন ববিতাও খুব অল্প বয়সেই অর্জন করেছিল ভালোই সুনাম। রিতিকা স্টেট্ লেভেলে সাব -জুনিয়র বিভাগে খেলতেন। নিজের অসাধারণ কুস্তির দক্ষতায় ক্রমশ সে অর্জন করছিলো সুনাম ও খ্যাতি। স্থানীয় স্তরে আয়োজিত বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা জিতে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলো পুরুস্কার।
রিতিকা ভরতপুরের একটি কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। অন্যবারের মতো এই রবিবারেও ছিল কুস্তির ম্যাচ। এই প্রথমবার সে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। আর এবারের প্রতিযোগিতায় প্রত্যাশা মতোই রিতিকা পৌঁছে যান ফাইনালে। কিন্তু ফাইবারে উঠেই বাধে বিপত্তি। মাত্র ১ পয়েন্টের জন্য সে চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে সেই দুঃখে -অভিমানে মন খারাপ হয়ে যায় রিতিকার।
হার না মানতে পাড়ার যন্ত্রনায় বৃহস্পতিবার রিতিকা বেঁচে নেন আত্মহত্যার পথ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিভাবান এই তরুণীর মৃত্যুর খবরে শোকে কাতর হয়ে যায় দেশের সমস্ত ক্রীড়া মহল।
খবর শুনে অনেকেরই প্রশ্ন, শুধু কি হার না মানতে পারার যন্ত্রনা নাকি এই মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অন্যকোনো রহস্য তা ক্ষতিয়ে দেখার জন্য দাবি উঠেছে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ঘটনার তদন্ত। রিতিকার কাকা ছিলেন মহাবীর ফোগত। সেদিনের খেলায় গেলারিতে উপস্থিত ছিলেন মহাবীর ফোগত। রিতিকার এই হঠাৎ মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে যায় মহাবীর ফোগত সহ বাকি পরিবারের সদস্যরা।