বলিউড নায়িকা দিয়া মির্জাকে বিয়ে করলেন স্বামী, মুখ খুললেন বৈভবের প্রাক্তন স্ত্রী সুনয়না
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতী দিয়া শর্মা। দিয়া মির্জার৫ প্রথমবার বিয়ে হয়েছিল একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী সাহিল সংঘের সঙ্গে। পাঁচ বছর তার সঙ্গে সংসার করার পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।২০১৯ এর আগস্ট মাসে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের কথা নিজের মুখে আনেন তিনি। এরপর চুপিসারে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার তিনি দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেললেন। তার বিয়ের সাঁঝ ছিল নজরকাড়া-হাতে গাঢ় মেহেন্দি, পরনে লাল শাড়ি, মুখে লাবণ্য, চোখে দীপ্তি আর ঠোঁটে হাসি নিয়ে বিবাহ সম্মন্ন করলেন দিয়া।
এক বছর ধরেই এই নতুন পাত্রের সঙ্গে তিনি প্রেম করছেন। আর এই বছর সরস্বতী পুজোর আগের দিন তাদের প্রেমের পরিণতি ঘটে। কিন্তু কে এই পাত্র?তিনি কোনো বলিউডের অভিনেতা বা কোনো পরিচালক বা কোনো প্রোডিউসার? না সেরকম কেউ নন। ইনিও একজন পেশায় ব্যবসায়ী। নাম বৈভব রেখী ( Vaibhav Rekhi)। বিয়ের অনুষ্ঠান সেরকম জাকজমক করে করেননি এই জুটি। খুব কম লোককে নিয়ে নিজেদের বিয়ে সেরে ফেললেন এই জুটি।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা আর বৈভবের বিয়ের অনুষ্ঠান সোমবার পশ্চিম বান্দ্রার রেল এপার্টমেন্টে বসেছিল। বিয়ের পর যখন নবদম্পতি বেড়িয়ে আসে তখন পাপরাজজিৎ দের মুখোমুখি হন তিনি।সকলে বৈভব স্যারের খোজ করায় দিয়া জানান যে বৈভব স্যার খুব লাজুক। এবং দিয়া জানায় যে বৈভব ক্যামেরার সামনে আসতেই চায়না। বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হওয়ার খুশিতে দিয়া নিজের হাতে পাপারাজিতদের মিষ্টি খাওয়ান। দিয়া ও বৈভবের বিয়ের কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
View this post on Instagram
আর এবার সেই বিয়ে নিয়েই মুখ খুললেন দিয়া মির্জার স্বামী বৈভবের প্ৰাক্তন স্ত্রী সুনয়না সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় সুনয়না বলেন ““আমি সুনয়না রেখি। আমার নাম নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। যদি নাও শুনে থাকেন তবে গোটা নিউজ জুড়েই এখন আমি রয়েছি। আমার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দিয়ার বিয়ে হয়েছে। তার পর থেকেই অগুন্তি মেসেজ আসছে আমার কাছে আমরা ঠিক আছি কিনা। আপনাদের জানিয়ে রাখি আমি এবং আমার মেয়ে দু’জনেই একদম ঠিক আছি। শুধু ঠিকই নই। আমার মেয়ে তো রীতিমতো উত্তেজিত।” সুনয়না জানান, মুম্বইয়ে তাঁদের কোনও পরিবার নেই তাঁর মেয়ে সামাইরা আর একটি পরিবার পেয়ে বেজায় খুশি।”
তিনি আরও বলেন,”একজন সন্তানের চোখে তাঁর বাবা-মা’র ভালবাসা চোখে পড়াটা খুবই জরুরি। “সেই ভালবাসা হয়তো আমার এবং বৈভবের মধ্যে ও দেখতে পায়নি। এখন অন্তত দেখতে পাবে। আমার কাছে এই মুহূর্তটা খুবই স্পেশ্যাল। সামাইরা, ওর বাবা এবং দিয়ার জন্য আমি সত্যিই খুব খুশি”।