বিনোদন

শ্রাবন্তী চুপ, তবে সম্পর্কের বিষয় সরাসরি মুখ খুললেন রোশন সিং, জানা গেলো আসল সত্য

শ্রাবন্তী রোশনের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে সমালোচনা। সংসার ভাঙার গুঞ্জন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা। তবে তাদের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে এখনো পাওয়া যায়নি কোনও সঠিক তথ্য। গুঞ্জনের শুরু থেকেই মুখ বন্ধ রেখেছেন শ্রাবন্তী। কিন্তু শ্রাবন্তী (Shrabanti Chaterjee) চুপ থাকলেও এবার মুখ খুললেন তার স্বামী রোশন সিং(Roshon Singh)। এক সাক্ষাৎকারে রোশন সিং জানিয়েছেন তার মনের কথা।

এক সময় তিনি যখন কাজ করতেন এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু সুপারভাইজার হিসেবে তখন তার ফ্লাইটে বলিউডের শারুখ খান থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন উঠেছেন তার ফ্লাইটে! এরপর তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে খুলেছেন তার নিজের জিমন্যাসিয়াম। তবে তাকে এখনো বিনোদন জগৎ চেনে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির স্বামী হিসেবে।

রোশন সিং সাধারণত কাউকেই সাক্ষাৎকার দিতে চান না তবে তিনি বাংলার জনপ্রিয় ও অন্যতম নামী পত্রিকা আনন্দবাজারকে এড়িয়ে যেতে পারেননি। তবে তিনি সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে আনন্দ বাজারকে শর্ত দিয়েছিলেন যে সাক্ষাৎকারে সার্বন্তিকে নিয়ে কোনোরকম প্রশ্ন করা যাবে না। কিন্তু সাক্ষাৎকারে সরল প্রকৃতির রোশন তার নতুন ব্যবসা থেকে শুরু করে সম্পর্ক সব বিষয়েই কথা বললেন।

এমনিতে কাউকে সাক্ষাৎকার দেন না তিনি। তবে ভারতীয় জনপ্রিয় বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে এড়িয়ে যেতে পারেননি। সাক্ষাৎকারের আগে আনন্দবাজারকে শর্ত দিয়েছিলেন, শ্রাবন্তীকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। কিন্তু দিলখোলা রোশন সিংহ নিজের নতুন ব্যবসা থেকে সম্পর্ক সব নিয়েই কথা বললেন।

সেখানে তিনি জানান যে টানা ১৩ বছর চাকরি শেষে তিনি দুটো জিম খোলেন। আর তার শরীর চর্চা প্যাশন আর জিমের প্রোমোশনের কারণেই তিনি ইনস্টাগ্রামে থাকেন। তবে তিনি জানিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়া হলো খুব খারাপ জায়গা।

সোশ্যাল মিডিয়া কেন খারাপ সেই সম্পর্কে তিনি বলেন ‘ আরে, আমার এক বন্ধু সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে নিয়ে একটা ছবি পাঠিয়েছিল। বলেছিল, হাসিটা ঠিক আমার মতো। সেটাই আমি ইনস্টায় পোস্ট করি। ব্যাস! ট্রোলড! লোকে লিখতে শুরু করল, আমিও এ বার সুশান্তের মতো গলায় দড়ি দিয়ে মরব! মেরেই ফেলল আমায়! এখন যা-ই পোস্ট করি, লোকে খারাপ বা ভুল কমেন্ট করতেই থাকে। আর শুধু তো আমার ওপর নয়। ওর (শ্রাবন্তীর নাম না করে) প্রোফাইলেও যা খুশি লেখা হচ্ছে। লোকে ওকে ওর মতো থাকতে দেবে না! সোশ্যাল মিডিয়া খুব খারাপ জায়গা হয়ে গিয়েছে। যে যা করছে করতে দাও। আনএথিকাল খবর করে কী লাভ?

তারপর একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সাথে সংসার করা কতটা চ্যালেঞ্জের বিষয় সে সম্পর্কে তিনি বলেন ‘আর পাঁচটা সংসারের মতোই আমাদের সংসার ছিল। ও যে সুপারস্টার, সেটা বাড়িতে থাকলে কোনোদিন বুঝতে দেয়নি। এমনকি, আমার পরিবারের সঙ্গেও মিশে গিয়েছিল। ওর ছেলের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল আমার। ৪০৭ (মালবাহী ম্যাটাডর) চালায় আমার এক বন্ধু। তার সঙ্গেও ও মিশতে পারত। তবে আমি মনে করি, যা হয় সবসময় ভালোর জন্যই হয়। এর বেশি আমি কিছু বলব না। প্লিজ!

এরপর চাকরি ছাড়ার প্রসঙ্গে রোশন আনন্দবাজারের প্রতিনিধিকে বলেন ‘ওই চাকরি থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। নিয়মানুবর্তিতা। কথা বলার ধরন। পোশাক নিয়ে সচেতনতা। এদিক থেকে ওদিক হলে চাকরিতে লাল দাগ। অন্য দিকে কত রকমের মানুষ দেখেছি। শাহরুখ খান থেকে অমিতাভ বচ্চন- সকবাই আমার ফ্লাইটে চড়েছেন। সুস্মিতা সেনের সঙ্গে আড্ডা হয়েছে। একবার সোহেল আর সলমন খানও ছিলেন। মুম্বই থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিলেন। আমরা মজা করে বলেছিলাম, স্যারের সঙ্গে ডিনার করব। উনি সেটা শুনে রাতেই পুরো টিমের জন্য হায়দরাবাদের হোটেলে বিরিয়ানি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

আমি খুব আবেগপ্রবণ। ৩১ ডিসেম্বর ছুটি না পেলে ভেঙে পড়তাম। হোলিতে কাজ করতে ভাল লাগত না। আর কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা আমি এখনো ভাবতে পারি না।

তারপর সিনেমাতে অভিনয় প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে রোশন বলেন আমি তো সিনেমা নিয়েই সংসার করেছিলাম। পুরো ইন্ডাস্ট্রি আমার চেনা। আমার জিমে শ্যুটিংও হয়েছে। কিন্তু আমি ‘নেম’ বা ‘ফেম’ কিছুই চাইনি। এখন যদিও অন্য কারণে, উল্টো দিক থেকে নাম হয়ে যাচ্ছে! তবে আমার মনে হয়, আমি অভিনয় করলে প্রযোজকরা ফেল করে যাবে। সেটা হতে দেওয়া যায় না।

পরিশেষে শ্রাবন্তীর সাথে তার যোগাযোগ আছে কিনা সেই সম্পর্কে রোশন বলেন ‘নাহ। এখন তো আর যোগাযোগ নেই।

Back to top button