নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর উত্তরসূরির মধ্যে একজন হলেন চিত্র ঘোষ। নেতাজির প্রিয় ভাইঝি ও শার্ট চন্দ্র বসুর একমাত্র তনয়া হইলেন চিত্র ঘোষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধ্যক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি। গত কাল নিজের পামপ্লেসের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে বয়স ছিল ৯০ বছর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলা মারা যান। চিত্রা ঘোষের মৃত্যুর খবর তাঁর ছেলেমেয়েরা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন।
চিত্রা ঘোষকে উডবার্ন পার্কে বসু পরিবারের ঐতিহাসিক বাসভবনে এ দিন সন্ধ্যায় চিত্রাদেবীর দেহ নিয়ে আসা হয়। এর পরে কেঁওড়াতলায় তাঁর শেষ কৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।শোকবার্তায় চিত্রা ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের মুহূর্তগুলো স্মরণ করালেন তিনি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল জানান প্রধানমন্ত্রী। নেতাজি সংক্রান্ত নথি প্রকাশের বেপারে সরকারকে নানা সহযোগিতা করেছেন সুভাষ চন্দ্র বসুর এই ভাইঝি।
এমনকি গুমনামী সিনেমায় নেতাজির অস্তিত্ত নিয়ে যখন প্রশ্ন ওঠে তখনই নেতাজির চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন। এরপর মুখার্জী কমিশনও জানিয়ে দিয়েছে, গুমনামী বাবা বা ভগবানজি সুভাষ চ্যান্ডরা বসু নন।
স্টেপটি সুবিমল ঘোষের স্ত্রী চিত্রাদেবী পড়াশোনার সময় থেকেই রাজনীতি ওসমাজসেবায় সক্রিয় ছিলেন। চিরতরে দেবী ফরওয়ার্ড ব্লকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সারাজীবন মানবসেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেন এই নেত্রী। ১৯৯৮ সালে বারাসাত লোকসভা থেকে দলীয় প্রার্থী হন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রঞ্জিত পাঁজর কাছে পরাজিত হন তিনি। বৃহস্পতিবার কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় তাঁর।