প্রথম ছবি মুক্তির আগেই মারা গেলেন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী, শোকে গোটা অভিনয় জগৎ
মাত্র কিছুদিন হয়েছে নতুন বছর ২০২১ সাল শুরু হয়েছে। বছরের শুরুতেই শোকের ছায়া বিনোদন জগতে। টলিউড অভিনেত্রী আশা চৌধুরী গত সোমবার রাতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্বপ্ন ছিল অনেক বড়ো অভিনেত্রী হওয়ার তাঁর সেই স্বপ্ন অর্ধেক রেখেই চলে গেলেন টলিউডের তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী।
বাংলাদেশের প্রতিভাবান অভিনেত্রী আশা চৌধুরী গত সোমবার রাতে পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। আশা শুটিং ফ্লোর থেকে সেদিন শুটিং শেষ করে সোমবার রাতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন।ঢাকার টেকনিক্যাল মোড়ে আশা যেই বাইকে করে আসছিলো হটাৎ একটি ট্রাক আসে ধাক্কা মারে। আশা ট্রাকের ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়েন এবং তাঁর মাথা থেঁতলে যায়। তারপর সেখানকার আসে পাশে স্থানীয় মানুষেরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য যেতে যেতে রাস্তায় আশা মারা যান হাসপাতালের ডাক্তারা তাকে মৃত বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
আশার মৃত্যুসংবাদ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তাঁর বন্দু প্রযোজক রোমান রুনী। তাঁর বাবা মানুসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মৃত্যুর কথা শুনে ও তাঁর পুরো ফ্যামেলি। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল বড়ো অভিনেত্রী হওয়ার। আশার অনুপ্রেরণা ছিলেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফ। আশা কাজের পাশাপাশি পড়াশুনাও মনোযোগ দিয়ে করেছিলেন এবং এক বেসরকারি কলেজে আইন নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন।
আশার টেলিভিশনে প্রথম পথচলা শুরু হয় শিহাব শাহীনের ‘একদিন সোফিয়া’ টেলিফিল্মের মাধ্যমে। তারপর টিভি পর্দায় নিজের অভিনয় দিয়ে টিভির পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। অভিনেত্রী আশা চৌধুরী বিটিভি চ্যালেনে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছিলেন যেমন রোমান রুনির ‘দ্য রিভেঞ্জ ‘ ও ‘এক ফালি রোদ ‘ , কামরুজ্জামান পুতুলের ‘সপ্নে বিভোর বাবা ‘ , এছাড়াও জয় সরকারের ‘ ওল্ড ইজ গোল্ড ‘ সহ চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ডেভিট করেছিলেন ‘ বাবা-মেয়ে ‘ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এখনও অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর একাধিক ফিল্ম শেষ হয়নি। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ায় সব কেমন থমকে গেলো। অভিনেত্রী আশার মৃত্যুতে শিল্পী মহল মর্মাহত হয়ে পড়েছেন।